ইসলাম ডেস্ক : হযরত রাবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, নবী করীম (সা.) এরশাদ করেন, দরিদ্র ব্যক্তিরা মালদার অপেক্ষা পাঁচশত বছর আগে বেহেশতে যাবেন। প্রিয় নবী (সা.) আরো বলেন যে, আমি বেহেশতের বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখলাম অধিকাংশ গরিব ব্যক্তি বেহেশতে দাখেল হচ্ছে, আর মালদারগণ হিসাব দেয়ার জন্য আটকা পড়ে আছেন।
অন্যদিকে দোজখীদের দোজখে পৌঁছানোর নির্দেশ দেয়া হবে। তখন দোজখের বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখলাম অধিকাংশ মেয়েলোকদের দোজখে দাখেল করা হচ্ছে।
এ হাদিসে নবী করিম (সা.) কিয়ামতের একটি বর্ণনা দিয়েছেন যা তাকে পূর্বেই দেখানো হয়েছিল।
এ হাদিস শরীফ দ্বারা পরিষ্কার বোঝা যায় যে, মালদার অপেক্ষা দরিদ্র ব্যক্তিরা অনেক আগে বেহেশতে যাবে। এর অর্থ এই নয় যে, দরিদ্র হলেই বেহেশতে যাবে, বরং দরিদ্র ব্যক্তিকে অবশ্যই নেককার হতে হবে। কাজেই দরিদ্রদের এ কথা ভাবা উচিত হবে না যে, আমাদের আর আমলের প্রয়োজন নেই, বরং দারিদ্র্যই আমাদের নাজাতের পথ।
এরূপ চিন্তা করা অত্যন্ত ভুল হবে। বরং যারা গরিব এবং পাপী তাদের উভয় স্থানেই কষ্ট। পার্থিব জগতেও কোনো ভোগ-বিলাস করতে পারল না, পাপের প্রায়শ্চিত্তস্বরূপ পরকালেও অনন্তকাল জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে।
হুজুর পাক (সা.) ফরমায়েছেন, যে ব্যক্তি দুনিয়াতে দরিদ্র এবং গোনাহগার সে সবচেয়ে হতভাগ্য।
হাদিস শরীফে আছে, কিয়ামতের দিন নেককার দরিদ্র ব্যক্তিদের ডেকে জিজ্ঞেস করা হবে, তোমরা কি কি কাজ করছিলে হিসাব দাও। তারা বলবে আয় আল্লাহ্! তুমি আমাদের গরিবী হালতে ফেলে পরীক্ষা করছো। আমরা ধৈর্যধারণ করেছিলাম। আল্লাহ্ তা’য়ালা বলবেন, তোমরা সত্যিই বলেছ এবং সর্বপ্রথম তাদের বেহেশতে দাখিল করা হবে। আর মালদারগণ মালের হিসাব দেয়ার জন্য আটকা পড়ে থাকবে।
২৯ অক্টোবর২০১৪/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম