ইসলাম ডেস্ক : হযরত সুহাইল বিন সা‘আদ (রা.) বলেন, রাসূলে (সা.) ইরশাদ করেন, কিয়ামতের দিন হাউযে কাওসারে তোমাদের সাথে আমার অবশ্যই সাক্ষাত হবে। আমি পানি পান করানোর জন্য তোমাদের আগেই তথায় উপস্থিত থাকবো। যে আমার কাছে যাবে, তাকে আমি পান করাব। যে একবার পান করবে, তার আর কখনও পিপাসা লাগবে না।
আতপর নবীজী বলেন, আমার কাছে এমন লোক উপস্থিত হবে, যারা আমাকে চিনে এবং আমিও তাদেরকে চিনি। কিন্তু তাদেরকে আমার কাছে আসতে দেয়া হবে না। আমি বলব, তারা আমার লোক, এদেরকে আসতে দাও। তখন বলা হবে, এদেরকে আসতে দেওয়া হবে না। কারণ এরা আপনাকে ওফাতের পর ধর্মে বেদায়াত সৃষ্টিকারী ছিল। তখন আমিও তাদেরকে তাড়িয়ে দিব। তারা পিপাসার্ত অবস্থায় ফিরে যাবে।
রোজ হাসরের কঠিন দিনে পিপাসার্ত ব্যক্তিগন যখন হাউযে কাওসারের নিকট গিয়েও পানি পান করতে পারবে না-ফিরে আসতে হবে তৃষ্ণার্ত অবস্থাতে তখন তাদের যে কি কষ্ট হবে তা বর্ণনা করা সম্ভব নয়।
মানুষ আপন স্বার্থসিদ্ধির মানসে যুগে যুগে কুরআন-হাদীসের বরখেলাফ হাজার হাজার মতবাদ তৈরি করে সরল প্রান মুসলমানকে জাহান্নামের পথে ঠেলে দিচ্ছে। কাজেই কোন কাজ করার আগে ভালভাবে দেখে নেয়া উচিত তা কুরআন-হাদীসে আছে কি-না। পীর-ফকির, আলেম-ওলামার মুখোশ পরে যারা প্ররোচনা দিতে আসে তাদের হাত থেকে রেহাই পাবার জন্য অত্যন্ত সতর্ক থাকা উচিত।
জন্ম-মৃত্যু, বিবাহ-শাদী; পীর-ফকিরের আস্তানা, কবর মাজার ইত্যাদিকে কেন্দ্রকরে নতুন নতুন বেদয়াত জন্ম নিচ্ছে। বেদয়াতী রোজ হাশরে হাউযে কাওসারের নিয়ামত থেকে সম্পূর্নরূপে মাহরূম থাকবে। অতপর সকল প্রকার বেদয়াত থেকে বাঁচার জন্য চেষ্টা করা সকলের প্রয়োজন।
২৬ জানুয়ারি ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে