বুধবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৩:৩৩:৩৪

‘তোমরা কি জানো না, সূরা ইখলাসই তোমাদের সকল বিপদ থেকে রক্ষা করবে’

‘তোমরা কি জানো না, সূরা ইখলাসই তোমাদের সকল বিপদ থেকে রক্ষা করবে’

ইসলাম ডেস্ক: আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পাঠ করে, এটা তাকে বিপদ আপদ থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট হয়। (ইবনে কাসির) হজরত আবু হুরাইরা রা. বর্ণনা করেন, একবার আল্লাহর রাসুল সা. বললেন, তোমরা সবাই একত্রিত হয়ে যাও। আমি তোমাদের কোরআনের তিনভাগের একভাগ শোনাব। তারপর যাদের পক্ষে সম্ভব ছিল তারা একত্রিত হয়ে গেলে তিনি আগমন করলেন এবং সুরা ইখলাস পাঠ করে শোনালেন।

তিনি আরও বললেন, এ সুরাটি কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান। (মুসলিম ও তিরমিযি) হজরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত রয়েছে, জনৈক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সা.-এর কাছে এসে বললেন, আমি এ সুরাটি খুব ভালোবাসি। তিনি বললেন, এর ভালোবাসা তোমাকে বেহেশতে প্রবেশ করাবে। (ইবনে কাসির)

সূরা ইখলাস পাঠের ফজিলত: প্রতিদিন অজুর সাথে ২০০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করার দ্বারা ০৯ টি উপকার লাভ হবে। (১) আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত অসুন্তুষ্টির ৩০০ টি দরজা বন্ধ করে দিবেন। যেমন: শত্রতা, দূর্ভিক্ষ, ফিতনা ইত্যাদি। (২) রহমতের ৩০০ টি দরজা খুলে দিবেন। (৩) রিজিকের ১০০০ টি দরজা খুলে দিবেন। আল্লাহ তায়ালা পরিশ্রম ছাড়া তাকে গায়েব থেকে রিজিক দিবেন। (৪) আল্লাহ পাক নিজস্ব ইলম থেকে তাকে ইলম দিবেন, নিজের ধৈর্য্য থেকে ধৈর্য্য এবং নিজের বুঝ থেকে বুঝ দিবেন।

(৫) ৬৬ বার কুরআন শরীফ খতম করার সাওয়াব দান করবেন। (৬) তার পঞ্চাশ বছরের গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে। (৭) আল্লাহ পাক জান্নাতে ২০টি মহল দান করবেন। যেগুলো ইয়াকুত, মারজান,জমরুদ দ্বারা নির্মিত হবে এবং প্রত্যেকটি মহলে ৭০,০০০ দরজা হবে। (৮) ২০০০ রাকাত নফল পড়ার সাওয়াব অর্জিত হবে। (৯) যখন ‍মৃত্যু বরন করবে তখন তার জানাযায় এক লক্ষ দশ হাজার ফেরেশতা অংশগ্রহন করবেন।

এমটি নিউজ২৪/জুবায়ের/রাসেল

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে