ইসলাম ডেস্ক: মানুষের ব্যক্তিগত আমল অনুযায়ী জান্নাতে তার স্থান নির্ধারিত হবে। যার আমল যত ভালো হবে, তার সম্মান-মর্যাদাও তত উন্নত ও উচ্চ মার্গের হবে। মূলত মানুষের আমলের ভিত্তিতেই পরকালে ভালো-মন্দ নির্বাচিত হবে। তবে রাসুল কিছু মানুষকে উত্তম বা সেরা বলেছেন।
পাঠকদের জন্য তাদের নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা। এক. রাসুল (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ওই ব্যক্তি, যে তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম আচরণের অধিকারী।’ (বুখারি, হাদিস নং : ৬০৩৫)
দুই. রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি, যে নিজে কোরআন শেখে এবং অন্যকে শেখায়।’ (বুখারি, হাদিস নং : ৫০২৭)
তিন. রাসুলে করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি, যার কাছ থেকে সবাই কল্যাণ আশা করে, অনিষ্টের আশঙ্কা করে না।’ (তিরমিজি, হাদিস নং : ২২৬৩/২৪৩২)
চার. রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ওই ব্যক্তি, যে তার পরিবারের কাছে ভালো।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং : ৪১৭৭)
পাঁচ. প্রিয় নবী (সা.) হাদিসে বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বসেরা ব্যক্তি সে, যে ঋণ পরিশোধের বেলায় ভালো।’ (বুখারি, হাদিস নং : ২৩০৫)
ছয়. মহানবী (সা.) বলেন, ‘সেরা মানুষ সে, যার বয়স দীর্ঘ এবং কর্ম ভালো হয়।’ (জামিউল আহাদিস, হাদিস নং : ১২১০১)
সাত. মহানবী (সা.) বলেন, ‘সর্বোত্তম মানুষ সে, যে মানবতার জন্য অধিক কল্যাণকর ও উপকারী। (সহিহুল জামে, হাদিস নং : ৩২৮৯)
আট. মহানবী (সা.) বলেন, ‘শ্রেষ্ঠ মানুষ হলো যার অন্তর পরিচ্ছন্ন ও মুখ সত্যবাদী। সাহাবিরা জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসুল! সত্যবাদী মুখ বোঝা গেল, কিন্তু পরিচ্ছন্ন অন্তরের অধিকারী কে? রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, যে অন্তর স্বচ্ছ ও নির্মল, মুত্তাকি—যাতে কোনো পাপ নেই, বাড়াবাড়ি বা জুলুম নেই, খেয়ানত ও বিদ্বেষ নেই। (সহিহুল জামে, হাদিস নং : ৩২৯১)
নয়. রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সে, যার চরিত্র সবচেয়ে বেশি সুন্দর।’ (বুখারি, হাদিস নং : ৩৫৫৯)
দশ. মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম সঙ্গী সে, যে তার সঙ্গীর কাছে উত্তম। আর আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম প্রতিবেশী সে, যে তার প্রতিবেশীর কাছে উত্তম।’ (তিরমিজি, হাদিস নং : ১৯৪৪)