ইসলাম ডেস্ক: মহান আল্লাহ তায়ালার অপরূপ সৃষ্টির মধ্যে মৌমাছি একটি। এই মৌমাছিকে নিয়ে আধুনিক বিজ্ঞান এখন যা বলছে মহান আল্লাহ তায়ালা তা ১৪০০ বছর আগেই বলে দিয়েছেন। মূলত আল কোরআনে মৌমাছিকে নিয়ে একটি সূরা আছে। এটি হল সূরা নাহল, নাহল শব্দটির অর্থ মৌমাছি। চলুন জেনে নিই পবিত্র কোরআনের সুরা নাহল এবং কর্মী মৌমাছির মধ্যে যে অপরূপ মিল রয়েছে তার কয়েকটি নমুনা।
ক. এই সূরাটির অবস্থান কোরআনের ১৬ নাম্বার স্থানে।
খ. খুব সম্প্রতি বিজ্ঞান জানিয়েছে, পুরুষ মৌমাছির ক্রোমোসোম সংখ্যা ১৬! স্ত্রী মৌমাছির ৩২ । ১৬*২=৩২ ।এভাবে মিলে যেতে হবে ?
গ. আবার সুরাটিতে আয়াত আছে ১২৮ টা। ১৬*৮=১২৮।
ঘ. এই সূরার ৬৮ নং আয়াতে প্রথম নাহল বা মৌমাছি সম্বন্ধে বলা হয়েছে।
এই আয়াতটিতে ১৩টি শব্দ আছে। সূরাটির একেবারে প্রথম শব্দ থেকে গুনে গুনে এই নাহল শব্দটি পর্যন্ত শব্দ সংখ্যা ৮৮৪।
তো কি হয়েছে ?
৬৮ নং আয়াতে ১৩ টা শব্দ থাকতেই পারে আর সর্বপ্রথম নাহল শব্দটিও থাকতেই পারে, এটার গুরুত্ব কি আছে! আছে বৈ কি,
কারণ ১৩*৬৮=৮৮৪ হয় যে!!!
কি অস্বাভাবিক গানিতিক অবস্থান এই কোরআন মেনে চলে!!!
এই সূরার ৬৮ এবং ৬৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে কর্মি মৌমাছির কথা।
ওখানে কর্মী মৌমাছিকে বলা হয়েছে"কুল্লিঅফাছলুক"। এই শব্দটির অর্থ স্ত্রী মৌমাছি । অর্থাৎ কোরআন কর্মী মৌমাছিদেরকে বলেছে মেয়ে মৌমাছি। "আর তোমর প্রভু নারী মৌমাছিকে বললেন, তোমাদের বাসস্থান বানাও। পাহারে, বৃক্ষে আর মানুষের গৃহে" (সূরা নাহল:৬৮)।
আগে আমরা জানতাম কর্মী মৌমাছি হল পুরুষ মৌমাছি। আজ আমরা জেনেছি কর্মী মৌমাছিদের আসলে কোন রাজা নেই আেছে রাণী আর কর্মী মৌমাছি হচ্ছে স্ত্রী মৌমাছি। কোরআন দেড় হাজার বছর আগে মৌমাছির লিঙ্গ সনাক্ত করেছিল।
২৪ জুলাই,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/এমআর