হেরাক্লিয়াসের সমরাভিয়ানের কথা শুনে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নেতৃত্বে মুসলমানরা যুদ্ধে প্রস্তুতি গ্রহণ করলেন। মক্কা জয়ের পর ইসলামের বশ্যতা স্বীকারকারী বিভিন্ন গোত্র দলে দলে এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করল। প্রায় ১০ হাজার অশ্বারোহীসহ মোট ৪০ হাজার সৈন্য নিয়ে নবী করিম (সা.) রোম সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে সদলবলে তাবুক অভিমুখে রওনা হলেন।
সম্ভবত সিরিয়াগামী বাণিজ্যপথের নিরাপত্তা বিধানের জন্য মহানবী (সা.) তাবুক অভিযানের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন। এর সঙ্গে ৬২৯ খ্রিস্টাব্দে মহানবীর (সা.) মুতা অভিযানের কারণ উল্লেখযোগ্য।
রোমান সৈনিকরা মুসলমানদের ব্যাপক সমরায়োজনের সংবাদ পেয়ে পশ্চাৎপসারণ করল। ফলে কোনো যুদ্ধ সংঘটিত হলো না। হজরত মুহাম্মদ (সা.) কয়েকদিন সেখানে অবস্থান করে মদিনায় ফিরে এলেন। ইসলামের ইতিহাসে তাবুক অভিযান 'গাজওয়াতুল ওসরা' বা কষ্টের যুদ্ধ নামে পরিচিত। এ অভিযান পরিচালিত হয়েছিল গ্রীষ্মকালে। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড সূর্যকিরণ ও অসহ্য পানিকষ্টের মধ্যদিয়ে এ অভিযান মুসলমানদের সুদীর্ঘ বন্ধুর পথ অতিক্রম করতে হয়েছিল। তাই একে উল্লিখিত নামে অভিহিত করা হয়েছে। এটাই মহানবী (সা.)-এর জীবনের সর্বশেষ অভিযান। এ অভিযানে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। কথিত আছে যে, তিনি সর্বমোট ২৭টি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তন্মধ্যে তাবুক ছাড়া আরও আটটি অভিযানে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন।
১৯ আগস্ট,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/এমআর