ইসলাম ডেস্ক: কেয়ামতের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে পৃথিবীতে গান বাজনা ও গায়িকার সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়ে যাবে। আখেরী যামানার লোকেরা গান-বাজনা হালাল মনে করে ব্যাপকভাবে তাতে আসক্ত হয়ে পড়বে। তার অংশ হিসেবে বর্তমানে ব্যাপক আকারে এই আলামতটি দেখা দিয়েছে।
মুসলমানদের ঘরে ঘরে টিভি, ডিস এন্টিনা, ইন্টারনেটসহ নানা ধরণের প্রযুক্তি ঢুকে পড়েছে। ২৪ঘন্টা এগুলোতে গান-বাজনা, উলঙ্গ, অর্ধালঙ্গ নারী পুরুষের ফাহেশা ছবি এবং ফিল্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। এগুলো মুসলমানের সন্তানদের ঈমান আকীদা ও চরিত্র ভেঙ্গে চুরমার করে দিচ্ছে। যারা একাজে মত্ত হবে তাদেরকে তিন ধরণের শাস্তি দেয়া হবে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আখেরী যামানায় কোন কোন জাতিকে মাটির নিচে দাবিয়ে দেয়া হবে, কোন জাতিকে উপরে উঠিয়ে নিক্ষেপ করে ধ্বংস করা হবে। আবার কারো চেহারা পরিবর্তন করে শুকর ও বানরে পরিণত করা হবে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করা হলো কখন এরূপ করা হবে? তিনি বললেন, যখন গান-বাজনা এবং গায়িকার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। [ইবনে মাজাহ]
এই পাপে লিপ্ত হওয়ার কারণে অতীতের কোন কোন জাতিকে এভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। বর্তমানেও আমরা প্রায়ই ভূমি ধসে ব্যাপক ধ্বংসের খবর প্রচার মাধ্যমে শুনতে পাচ্ছি। তবে চেহারা পরিবর্তনের ঘটনা সম্ভবত এখনও ঘটেনি। আমরা হিসেবে বিশ্বাস করি আমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা বলেছেন তা কিয়ামতের আগে অবশ্যই ঘটবে। দ্বীন-ধর্ম ছেড়ে দিয়ে যে সমস্ত মুসলমান গান-বাজনা ও গায়ক-গায়িকা নিয়ে ব্যস্ত থাকবে তাদের উপরে চেহারা বিকৃত করার শাস্তি অবশ্যই আসবে। প্রিয় নিউজ
সঙ্কলন : আব্দুল্লাহ শাহেদ আল-মাদানি
৩১ জুলাই,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/এমআর