ইসলাম ডেস্ক: সাহাবায়ে কেরাম-তাবিয়ীদের যুগে ‘লাইলাতুল বারাত’ পরিভাষাটির ব্যবহার ছিল না। হাদীসে এ রাতটিকে ‘লাইলাতু নিসফি শাবান’ বা মধ্য শাবানের রাত বলা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা মধ্য শাবানের রাতে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টিপাত করেন এবং মুশরিক ও হিংসা-বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সকলকে ক্ষমা করে দেন।’ (ইবনু মাজাহ, আস- সুনান, খন্ড-১, পৃ. ৪৪৫) ৮ জন সাহাবীর সূত্রে বিভিন্ন সনদে এ হাদীসটি বর্ণিত। শবে বরাত বিষয়ে এটি একটি সহীহ হাদীস।
এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, এ রাতটি ফজিলতময় এবং এ রাতে আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদেরকে ক্ষমা করেন। তবে ক্ষমা লাভের শর্ত হলো (১) শিরক ও (২) হিংসা-বিদ্বেষ থেকে মুক্ত হতে হবে। এ দুটি বিষয় থেকে যিনি মুক্ত হতে পারবেন তিনিই কোনোরূপ অতিরিক্ত আমল করা ছাড়াই এ রাতের বরকত ও বিশেষ ক্ষমা লাভে ধন্য হবেন।
আর যদি এ দুটি বিষয় থেকে মুক্ত হতে না পারেন, তবে কোনো আমলেই কোনো কাজ হবে না। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমরা শবে বরাত উপলক্ষ্যে অনেক ধরণের অনেক কিছুই করি কিন্তু সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত এ দুটি শর্ত পূরণের চেষ্টা খুব কমই করে থাকি।