মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ: তাওবা আল্লাহ তাআলার পছন্দনীয় কাজ। আল্লাহ চান বান্দা তাওবা করে তার পথে ফিরে আসুক। রমজানে তাওবার গুরুত্ব আরো বেড়ে যায়। হাদিস শরিফে এসেছে, রমজানের রোজাই গোনাহ মাফের মাধ্যম। শরিয়তে যেভাবে রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছে, সেভাবে রোজা রাখলে রোজাই বান্দার জন্য তাওবা বলে গণ্য হবে। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি ঈমান (বিশ্বাস) ও পরকালের আশায় রোজা রাখবে, আল্লাহ তার বিগত দিনের গোনাহ মাফ করে দেবেন।’
অন্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রমজান মাসে করণীয় কাজ চারটি। দুটি বান্দা করবে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য। আর দুটি করবে নিজের কল্যাণে। প্রথম দুটি কাজ হলো, ‘লা ইলাহা ইল্লাহ’র সাক্ষ্য দেওয়া। তথা লা ইলাহা ইল্লাহর জিকির বেশি বেশি করা। আল্লাহর কাছে তাওবা করা। গুনাহের জন্য ক্ষমা চাওয়া। বাকি দুটি কাজ হলো জান্নাত প্রার্থনা করা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাওয়া। এই চারটি কাজ রমজানে বেশি করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মুমিন বান্দা সব সময় তার ভুলের জন্য তাওবা করবে। কোনো পাপ হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে অনুতপ্ত হবে এবং তাওবা করবে। তবে রমজানে যেহেতু আল্লাহ বান্দার প্রতি বেশি অনুগ্রহশীল হন, তাই রমজানে বেশি বেশি তাওবা করা ও ক্ষমা করা উচিত। শুধু মুখে তাওবা শব্দের উচ্চারণকে প্রকৃত তাওবা বলে না। তাওবা বলা হয় অনুতপ্ত হৃদয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং ভবিয্যতে এমন কাজ না করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা। আল্লাহর নিকট তা থেকে আশ্রয় চাওয়া এবং সাহায্য চাওয়া।
লেখক : পরিচালক, শায়খ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, ঢাকা।