ইসলাম ডেস্ক: গত সোমবার (১৭ জুন) পবিত্র কাবা ঘরের সাময়িক রক্ষণাবেক্ষণে সংস্কার কাজ শুরু হয়। সাময়িক এ সংস্কার কাজ এ বছরের জন্য গতকাল বুধবার (১৯জুন) সম্পন্ন হয়। খাদেমুল হারামাইন বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের নির্দেশনায় এ সংস্কার কাজ পরিচালিত হয়। (খবর সৌদি প্রেস এজেন্সি)
মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ের স্পন্দন ও আবেগ অনুভূতির সর্বোচ্চ স্থান পবিত্র কাবা শরিফের স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণেই এ সংস্কার কার্যক্রম। যা পর্যায়ক্রমে চলবে। সৌদি আরব সরকারের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের নজরদারিতে অর্থমন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পর্যায়ক্রমে কাবা শরিফের সংরক্ষণ ও সংস্কার কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
যে কোনো ধরনের বিপর্যয় মোকাবেলায় কাবা শরিফের রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার কাজে বিশ্বের সর্বোচ্চ প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিজক দক্ষতাপূর্ণ প্রক্রিয়া তা সম্পন্ন হবে। পবিত্র রমজান মাসের আগেই কাবা ঘর ধুয়ে পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। পবিত্র কাবা ঘরের ভেতরে মারাফে দুই রাকাআত নামাজ আদায় করার মাধ্যমে এ কাজ পরিচ্ছন্ন কাজ শুরু হয়। ভেতরের দেয়ালগুলো ধুতে গোলাপ মিশ্রিত জমজমের পানি ও স্বচ্ছ সাদা কাপড় ব্যবহার করা হয়।
কাবা ঘরের ভেতরের ফ্লোরও খেজুরের পাতা দিয়ে গোলাম মিশ্রিত জমজমের পানি দিয়ে ধোয়া হয় এবং সাদা কাপড় ও উন্নতমানের টিস্যু দিয়ে তা শুকানো হয়। কাবা ঘর পরিচ্ছন্নতায় বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতের অনুসরণ করে করা হয়। যেভাবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজান মাসে মক্কা বিজয়ের পর নিজের তত্ত্বাবধানে ধুয়ে পরিচ্ছন্ন করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ঐতিহাসিক তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত ১২ বার পবিত্র কাবা ঘর সংস্কার করা হয়েছে। সর্বশেষ বড় ধরনের সংস্কার কার্যক্রম পরিচালিত হয় ১৯৯৬ সালে। তখন কাবার ছাদ ভেঙে পুনর্নির্মাণ করা হয়। এমনকি দেয়ালগুলোও নতুন করে মেরামত করা হয়। ২০১৮ সালের হজের পর ঐতিহাসিক জমজম কূপের সংরক্ষণে তা সংস্কার করা হয়েছে।জাগো নিউজ