ইসলাম ডেস্ক : আল্লাহর রসূল নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন :
ثَلاثٌ لا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ : الْعَاقُّ لِوَالِدَيْهِ ، وَالدَّيُّوثُ ، وَرَجُلَةُ النِّسَاءِ
“তিন শ্রেণির লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে না। তারা হল, পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান, দাইয়ূস এবং পুরুষ বেশধারী নারী। (সহীহুল জামে, আলবানী, হা/৩৬৩)
দাইয়ুস সম্পর্কে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
الدَّيُّوثُ الَّذِي يُقِرُّ فِي أَهْلِهِ الْخَبَثَ
“ঐ ব্যক্তিকে দাইয়ুস বলা হয় যে তার পরিবারের অশ্লীলতা ও কুকর্মকে মেনে নেয়। (মুসনাদ আহমদ, নাসাঈ)
ইবনে আব্বাস (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আল্লাহর রসূল (সা:) নারীর বেশ ধারণকারী পুরুষদেরকে এবং পুরুষের বেশ ধারণকারী মহিলাদেরকে অভিশাপ করেছেন ।” -(বুখারী: ৫৮৮৫, ৫৮৮৬; তিরমিযী: ২৭৮৪; আবু দাউদ: ৪৯৩০)
রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেছেন,
“তিনজন আছেন যাদের দিকে আল্লাহ সুবহানা তায়ালা কিয়ামাতের দিন নজর দেবেন না। যে পিতামাতার অবাধ্য, যে নারী বেশভূষায় পুরুষের অনুকরণ করে এবং দাইয়্যুস ব্যক্তি। [সুনান আন নাসাঈ: ২৫৬২, হাদিস সাহীহ]
হাদিসের ভাষ্যমতে, একজন পুরুষ দাইয়্যুস সাব্যস্ত হবে যদি সে তার বোন, স্ত্রী, কন্যাদের বেপর্দাভাবে চলাফেরা করাকে বন্ধ না করে, তাদেরকে অশ্লীলতা, ব্যভিচার থেকে দূরে না রাখে।
যেসব ভাইয়েরা এখনও দাইয়্যুসের কাতারে আছেন আজই তওবা করুন, নিজের পরিবারের মহিলাদের বুঝান, দাওয়াহ দিন। তারপরও না বুঝলে বাধ্য করুন, কেননা তাদের ব্যাপারে আপনি জিজ্ঞাসিত হবেন। এমনকি আপনার জান্নাত জাহান্নামও অনেকাংশে তাদের উপর নির্ভর করছে। কারণ তারা আপনার অধিনস্ত।
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/