এ ইফতারে একসঙ্গে সাড়ে তিন হাজারের বেশি লোক অংশ নেয়। তবে চেয়ার-টেবিলে নয়, বরং মাটিতে ‘দস্তরখানে’ বসে ইফতার করেন রোজাদাররা। ইফতার হিসেবে দেয়া হয় বিরিয়ানি, জুস, খেজুর ও ফল। আর এসব কিছুই বিনামূল্যে।
উল্লেখ্য, চলতি রমজানের শুরুর দিকে মিসরের আলেকজান্দ্রিয়ায় কিছু যুবক বৃহত্তম ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তোলে। তারা সাত হাজার লোককে একসঙ্গে ইফতার করিয়েছিল।
শ্রীনগরের ইফতারে অংশ নেয়া এক ছাত্রী নাদিরা বলেন, ‘আমি মনে করি, এ ধরনের রেকর্ড সৃষ্টি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা একটা দারুণ আইডিয়া। কাশ্মীরী হিসেবে এই রেকর্ডের খুব বেশি গুরুত্ব অনুভব করছি। ইফতার পার্টিতে এতিমদের খাবার দেয়া আরো ভালো কাজ।’
‘লাউড বিটল’ নামের একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি এই গণ ইফতারের আয়োজন করে। তবে তারা এতে কাশ্মীরের বিভিন্ন নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী ও ইচ্ছুকদের কাছ থেকে সহায়তা গ্রহণ করেছে।
এর আগে এশিয়ায় সবচেয়ে বৃহত্তম ইফতার মাহফিল আয়োজনের রেকর্ডটি ছিল শারজার দখলে। সেখানে ১.৩ কিলোমিটার লম্বা এলাকায় পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। আর শ্রীনগরের পার্টির আয়তন হয় ১.৩ কিলোমিটার।
এই ইফতার মাহফিলের অন্যতম আয়োজক আহমদ খান বলেন, এশিয়ার বৃহত্তম ইফতার মাহফিল ছাড়াও এর মাধ্যমে ধর্ম হিসেবে ইসলামের মানবিকতা ও ঐক্যের বিষয়টি স্থান পেয়েছে।
শতাব্দীকাল থেকেই এভাবে না হোক কাশ্মীরে রমজান মাসে গরিবদের জন্য ইফতারের বিভিন্ন আয়োজন করা হয়ে থাকে। ওই সব আয়োজনে দলে দলে রোজাদাররা ইফতারে অংশগ্রহণ করেন। ইফতারের মাধ্যমে তাদের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির পরিচয় ফুটে ওঠে। সূত্র: ওয়েবসাইট