ইসলাম ডেস্ক: মানবজাতীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ একজন নারীকে মহান আল্লাহ তায়ালা জিব্রাইল (আ.) এর মাধ্যমে সালাম পাঠিয়েছিলেন। বিশ্বনবী (সা.)'র পেছনে সর্বপ্রথম যে দুই জন জামায়াতে নামাজ আদায় করেছেন তারা হলেন উম্মুল মু'মিনিন হযরত খাদিজা (সা.)ও বালক আলী(আ.)। খাদিজা (সা.) মহান আল্লাহর এতটা নৈকট্য লাভ করেছিলেন যে যখন হযরত জিবরাইল (আ.) ওহী নিয়ে বিশ্বনবী (সা.)'র কাছে নাজেল হতেন তখন তিনি প্রথমে মহান আল্লাহর সালাম পৌঁছে দিতেন এই মহীয়সী নারীর কাছে।
মহানবী (সা.)'র সঙ্গে বিবাহিত জীবনের ২৫ বছর কাটিয়েছেন মহীয়সী নারী হযরত খাদিজা(সা.)। তিনি যতদিন জীবিত ছিলেন ততদিন বিশ্বনবী (সা.) অন্য কোনো স্ত্রী গ্রহণ করেননি।
রাসূল (সা.)-কে বিয়ের আগেও হযরত খাদিজা(সা.) ছিলেন একত্ববাদী ও হযরত ইব্রাহিম (আ.)'র ধর্মের অনুসারী এবং আরব জাতির মধ্যে সবচেয়ে ধনী মহিলা। হাজার হাজার উট তাঁর মালিকানাধীন বাণিজ্য-সম্ভার দেশ থেকে দেশে বহন করত বলে ইতিহাসে বর্ণিত হয়েছে। বিশ্বনবী (সা.)'র সঙ্গে বিয়ের সময় তার বয়স ছিল ৪০ বছর (এ সময় তাঁর বয়স আরো কম ছিল বলে কেউ কেউ মনে করেন, তবে অধিকাংশ বিশেষজ্ঞই তাঁর ৪০ বছর বয়স্ক হওয়ার মতটি সমর্থন করেন)। বিশ্বনবী (সা.)'র সঙ্গে বিয়ের ১৫ বছর পর যখন মহান আল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর স্বামীকে নবুওত দান করেন তখন থেকেই উম্মুল মু'মিনিন হযরত খাদিজা (সা.) নিজের সব সম্পদ বিশ্বজনীন ধর্ম ইসলামের প্রচার-প্রসার ও নও-মুসলিমদের ভরণ-পোষণের কাজে ব্যয় করতে থাকেন এবং ইসলামের পেছনেই ব্যয় হয়ে যায় তাঁর সমস্ত সম্পদ। ফলে তাঁর ইন্তিকালের পর ইয়াতিম কন্যা ফাতিমা (সা.) একটি মুদ্রা পরিমাণ সম্পদও উত্তরাধিকারসূত্রে (মায়ের কাছ থেকে) লাভ করেননি। (সহিহ বুখারী)।
সূত্র: রেডিও তেহরান
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/