এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: যে চোখ স্বপ্ন দেখে বড় হওয়ার, স্বপ্ন দেখে লেখাপড়া করে একজন আলেম হওয়ার সেই চোখ ধীরে ধীরে নষ্ট হচ্ছে চিকিৎসার অভাবে। দীর্ঘদিন ধরে চোখের অজ্ঞাত রোগে ভুগছে সিলেটের মাদরাসাছাত্র আব্দুল আলম। তার বয়স মাত্র সাড়ে ৮ বছর।
মাদরাসাছাত্র আব্দুল আলম সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মিরগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছোট ছেলে। সে হজরত বড়পীর (র.) দাখিল মাদরাসার ৩য় শ্রেণির ছাত্র। তারা দুই বোন ও দুই ভাই।
চিকিৎসকরা বলেছেন- তার চোখে একটি অপারেশন করলেই সে সুস্থ হবে। অপারেশনে ব্যয় হবে এক লাখ টাকা। অভিভাবকহীন পাঁচ সদস্যের এ পরিবারের পক্ষে এতো টাকা চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। তাই পরিবারটি এখন তাদের সর্বকনিষ্ঠ ছেলের এমন নিয়তি মেনে নিয়েছে।
আলমের বাড়িতে গিয়ে জানা গেছে, আলম জন্মের পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত হয়। এরপর থেকে অনেক চিকিৎসা করানো হয়। কয়েক বছর আগে মাথায় অতিরিক্ত পানি বেড়ে যাওয়ায় একটি অপারেশন করা হয়। এরপর চোখের রোগটি কিছুটা কমে গেলেও পরে ধীরে ধীরে চোখ দুটি বড় হতে থাকে। যত সময় যাচ্ছে চোখ দুটি ততই বড় হতে চলেছে। সিলেটে অনেক ডাক্তারের পরামর্শ নেয় আলমের পরিবার। ডাক্তাররা উন্নত চিকিৎসা নিতে তাকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেন।
চিকিৎসকরা জানান, যত দিন যাচ্ছে চোখ ততই বড় হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি অপারেশন করা যায় ততই ভালো হবে। দেরি করলে চোখ দুটি আর ঠিক নাও হতে পারে। আবার এ রোগে মস্তিস্কে প্রভাব পড়তে পারে। অপারেশনে ব্যয় হবে প্রায় লক্ষাধিক টাকা।
আব্দুল আলম জানায়, সে সুস্থ হতে চায়। আর বড় হয়ে একজন বড় হুজুর (দ্বীনে আলেম) হতে চায়। মাদরাসার শিক্ষক হতে চায়। সে ক্রিকেট খেলতে ও সাঁতার কাটতে ভালোবাসে। কিন্তু চোখের জন্য পারে না।
আলমের মা রাশিয়া বেগম বলেন, আলমের চিকিৎসায় অনেক টাকা খরচ হয়েছে। আরও এক লাখ টাকা খরচ করা আমাদের পক্ষে বড় বোঝা। ছেলের চিকিৎসায় তিনি সামাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেন।সূত্র: জাগো নিউজ