বিনোদন ডেস্ক : অভিনয় থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে ধর্মকর্ম নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নায়িকা নাহিদা আশরাফ আন্না। এখন তিনি নামাজ-কালাম নিয়েই বেশিরভাগ সময় পার করছেন।
এমন কি তাহাজ্জুদ নামাজও আদায় করেন 'মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি' ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখা এই নায়িকা। গত বছর 'গোপন সংকেত' ছবিতে শেষ অভিনয় করেন আন্না। এর পরই জীবন ভিন্নদিকে মোড় নেয় তার।
বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে আন্না বলেন, “ক্যামেরার সামনে আর দাঁড়াতে চাই না। হঠাৎ করেই আল্লাহর প্রতি একটা ভয় কাজ করছে, সব সময় নামাজ-কালাম পড়ে সময় কাটচ্ছি। নিয়ম করে কোরআন শরিফ পড়ছি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ছি, এমনকি তাহাজ্জুতের নামাজও আদায় করছি। কোথাও গেলে বোরকা পরে বের হচ্ছি।”
শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয় শুরু করা এই নায়িকার হঠাৎ করে কেন এই পরিবর্তন? আন্না বলেন, 'গোপন সংকেত' ছবির শুটিং করে এক বান্ধবীর জন্মদিনে গিয়ে সবাই মিলে অনেক মজা করে রাতে বাসায় ফিরি। সকালে ঘুম ভাঙে একটু দেরিতে।
তখন আমার এক ছোট বোন আমাকে বলে, আজ তো শবে বরাত। তুমি কি নামাজ পড়বে না? তখন আমার মনে হলো, নামাজ পড়া উচিত। রাতে নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে পড়ি। তখন স্বপ্নে দেখি, আমি মারা গেছি। পৃথিবীতে কেয়ামত হয়ে গেছে।
ঘুম ভাঙে আজানের শব্দে। আমি এত ভয় পেয়েছিলাম যে এরপর আর অন্য কিছু চিন্তা করতে পারিনি। আমার মনে হয়েছে, আল্লাহ আমাকে হেদায়েত করেছেন। এখন আমি নামাজ-রোজা নিয়েই থাকতে চাই।
এক প্রশ্নে আন্না বলেন, যেহেতু আমাদের পারিবারিক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আছে, আর ভালোবাসা থেকে চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করি, তাই ক্যামেরার পেছনে কাজ করার ইচ্ছা আছে, এমনকি ছবি পরিচালনা পর্যন্ত করার ইচ্ছা আছে। তবে শিল্পী হিসেবে আর ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবার ইচ্ছে নেই। সময়-সুযোগ পেলে হয়তো পরিচালনা করব সামনে।
ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত আন্না। শিশুশিল্পী হিসেবে তিনি 'বিদ্রোহী পদ্মা', 'মালা তুমি কার', 'প্রেম পিয়াসী' সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র কাজ করেছেন। ২০০৬ সালে বিনোদন বিচিত্রা ফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতায় তিনি রানারআপ হয়েছিলেন। ২০০৯ সালে এফআই মানিক পরিচালিত 'মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি' ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন তিনি।