ইসলাম ডেস্ক: বিপদকে ঘৃণা বা খারাপ দৃষ্টিতে দেখার কোনো সুযোগ নেই। অনেক সময় বিপদের কারণেই মানুষ আল্লাহর দিকে ফিরে আসে। আবার যখন মানুষ চরম অন্যায়ের দিকে ধাবিত হয় তখনই মানুষের ওপর বিপদ-মুসিবত পতিত হয়।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখনই কোনো কঠিন সমস্যা বা বিপদের সম্মুখীন হতেন তখনই আল্লাহর কাছে একান্তভাবে দোয়া প্রার্থনা করতেন। কঠিনতর বিপদ থেকে মুক্তি পেতে বিশ্বনবী যে দোয়া পড়তেন-
يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثُ
উচ্চারণ : ইয়া- হাইয়ু ইয়া- ক্বাইয়ূ-মু বিরাহমাতিকা আস্তাগিছ।
অর্থ : ‘হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী! আপনার রহমতের মাধ্যমে আপনার নিকটে সাহায্য চাই।’ (তিরমিজি, মুসতাদরেকে হাকেম, মিশকাত)
আবার তিনি যখন দেখতেন কোনো মানুষ বিপদে পড়েছেন, তখন তিনি তাদের বিপদ-আপদ থেকে মুক্তির জন্য এ দোয়া করতেন। হাদিসে এসেছে- হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কেউ বিপদগ্রস্ত লোক দেখলে বলবে (এ দোয়া পড়বে)-
اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِىْ عَافَانِىْ مِمَّا ابْتَلَاكَ بِهِ – وَ فَضَّلَنِىْ عَلَى كَثِيْرٍ مِّمَنْ خَلَقَ تَفْضِيْلَا
উচ্চারণ : আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি আফানি মিম্মানিবতালাকা বিহি; ওয়া ফাদ্দালানি আলা কাছিরিম মিম্মান খালাকা তাফদিলা।
অর্থ : সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি তোমাকে বিপদাক্রান্ত করেছেন; তা থেকে আমাকে নিরাপদ রেখেছেন এবং আমাকে তিনি তার মাখলুক থেকে মাখলুকের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।’ তখন তাকে এ মুসিবত কখনো স্পর্শ করবে না।’ (তিরমিজি)
সুতরাং কঠিন সমস্যার মুখোমুখি হলে নিজের জন্য প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো দোয়া পড়া। আবার যদি নিজেদের মধ্যে কেউ বিপদ-মুসিবতে পড়ে তবে তার জন্য হাদিসে বর্ণিত দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা জরুরি।