ইসলাম ডেস্ক: মক্কার কাবা শরিফের চত্বর ও মদিনার মসজিদে নববীতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ ‘সালাতুল ইসতিসকা’ আদায় করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সৌদি আরবের বাদশাহ ও দুই মসজিদের খাদেম সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের আহ্বানের পর বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইসতিকসকা আদায় করা হলো। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বাদশাহ সালমান বৃষ্টির জন্য সবাইকে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
রাজকীয় বিবৃতিতে বাদশাহ সালমান, দেশের প্রত্যেক নাগরিককে নবীর সুন্নত অনুসরণে এ নামাজ আদায় করার জোর আহ্বান জানান।
পবিত্র কাবা শরিফের চত্বরে রহমতের বৃষ্টির জন্য আদায় করা বিশেষ নামাজের ইমামতি করেন মসজিদের হারামের নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন খতিব শায়খ ড. বানদার ইবনে আবদুল আজিজ আল বালিলাহ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মক্কার মক্কার গভর্নর প্রিন্স খালেদ আল ফয়সালসহ সরকারের উধ্র্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
মসজিদে নববীতে সালাতুল ইসতিসকার ইমামতি করেন মসজিদে নববীর নতুন খতিব শায়খ ড. আহমদ তালিব হামেদ। মসজিদে হারামের প্রধান খতিব শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইসসহ মসজিদে হারামের অন্য ইমামদের উপস্থিতিতে নামাজ সম্পন্ন হয়।
দেশটিতে প্রতিবছরই একাধিকবার ইসতিসকার নামাজ পড়া হয় বৃষ্টির জন্য। অনাবৃষ্টি বা খরা দেখা দিলেই হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রহমতের বৃষ্টির জন্য নামাজ ও দোয়া করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় করা হলো।
ইসতিসকা শব্দের অর্থ পানি প্রার্থনা করা। সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আল্লাহতায়ালার কাছে একনিষ্ঠভাবে তওবা করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা জানাতে হয়। এ নামাজকে ইসতিসকার নামাজ বলে। ইসতিসকার নামাজ সুন্নত; পরপর তিন দিন ইসতিসকার নামাজ পড়া সুন্নত। যদি এরই মধ্যে বৃষ্টি হয়েও যায় তবুও তিন দিন পুরা করা উত্তম এবং এ তিন দিন নফল রোজা রাখা মুস্তাহাব।
এ নামাজের জন্য কোনো আজান, একামত নেই। ইসতিসকার নামাজ জামাতে পড়তে হয়। ইমাম সশব্দে কেরাত পড়বেন। নামাজ শেষে ঈদের নামাজের মতো দুইটি খুতবা দেবেন এর পর দোয়া করবেন।