ইসলাম ডেস্ক: পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ পবিত্র আল কোরআন। আল্লাহ তা‘আলা জিবরাঈল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে সুদীর্ঘ ২৩ বছরে মানব জাতির হেদায়াত হিসাবে অবতীর্ণ করেছেন আল-কুরআন। এটি অবতীর্ণ হয়েছে বিশ্বমানবতার মুক্তি, সৎ আরসত্যের পথ দেখানোর জন্য।
জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে নরওয়েতে ইসলাম ও মুসলমানদের চলাফেরা ও কার্যক্রম নিষিদ্ধে জোর দাবি ও প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে ইমলাম বিদ্বেষী কিছু লোক ও সংগঠন। সে ধারাবাহিকতায় কয়েক দিন আগে এক খ্রিস্টান পবিত্র কুরআনুল কারিমের একটি কপি জ্বালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। ওই সময় ওমর ইলিয়াস নামে এক মুসলিম যুবক প্রাণপণ চেষ্টা করে পবিত্র কুরআনের এ কপিটির হেফাজত করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিশ্বব্যাপী ইলিয়াসের কাজ ব্যাপক প্রশংসিত হয়। সারা বিশ্বের নামি-দামি ইসলামিক স্কলার ও বুদ্ধিজীবীরা তাকে সাধুবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। পাশাপাশি ইসলাম বিদ্বেষীদের আক্রমণ থেকে ইলিয়াসের নিরাপত্তার ব্যাপারেও দাবি জানান।
বিশ্বব্যাপী ইসলামিক স্কলাররা ইসলাম ও ধর্মীয় গ্রন্থ হেফাজতের ব্যাপারে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
নরওয়ের যে স্থানটিতে পবিত্র কুরআন জ্বালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল সে স্থানে অবিরাম কুরআন তেলাওয়াত হচ্ছে। মানুষ মনোযোগ সহকারে সে কুরআন তেলাওয়াত শুনছেন। এক ভিডিওতে দেখা গেছে এ দৃশ্য।
কুরআন অবমাননার চেষ্টার এ স্থানে উচ্চ আওয়াজের সাউন্ড বক্সের মাধ্যমে কুরআন তেলাওয়াত বাজানো হচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যায়, অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পবিত্র কুরআনের সুরা হামিম আস-সাজদার আয়াতগুলো সাউন্ড বক্সের উচ্চ আওয়াজের তেলাওয়াত গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনছেন।