ইসলাম ডেস্ক: জুমআর দিন ও জুমআর নামাজের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে বিশেষ নেয়ামত ও অনুগ্রহ দান করেন। যে নেয়ামত ও অনুগ্রহে বান্দার মর্যাদা বেড়ে যায়। এ কারণে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জুমআর নামাজ পড়া জরুরি।
যারা অলস'তাবশত জুমআর নামাজ থেকে বিরত থাকে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তাদের জন্য রয়েছে মা'রাত্ম'ক শা'স্তির ঘোষণা। আর যারা জুমআর নামাজ আদায়ের ব্যাপারে আগ্রহ না দেখিয়ে শুধু কাজ-কর্মে নিজেদের ব্যস্ত রাখে, আল্লাহ তাআলা সেসব বান্দার দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকান না।
জুমআর নামাজ না পড়লে তাদের শা'স্তি ভ'য়া'বহ। হাদিসে পাকে প্রিয় নবি ঘোষণা করেন-
‘যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমআ কোনো কারণ ছাড়াই ইচ্ছাকৃ'তভাবে ছেড়ে দেয়, আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির অন্তরে মোহর মে'রে দেন।’ (তিরমিজি, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)
যে ব্যক্তির অন্তরে আল্লাহ তাআলা মোহর মে'রে দেন, তার অন্তরে হেদায়েতের নূর প্রবেশ করার কোনো সম্ভবনা নেই। আর যে ব্যক্তি হেদায়েতের নূর থেকে বঞ্চি'ত সে ব্যক্তিই সবচেয়ে বেশি ক্ষ'তিগ্র'স্ত। অন্য হাদিসে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেন-
‘জুমআর নামাজ ছেড়ে দেয়া ব্যক্তি হয় নিজের এ মা'রাত্ম'ক কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখুক অথ্যাৎ জুমআর নামাজ আদায় করুক; অন্যথায় আল্লাহ তাআলা জুমআ পরিত্যা'গকারীকে তার শা'স্তি স্বরূপ অন্তরে মোহর মে'রে দেবেন। পরে তারা আ'ত্মভো'লা হয়ে যায়। এমনকি সংশো'ধন লাভের সুযোগ থেকেও তারা বঞ্চি'ত হয়ে যায়।’ (মুসলিম)
হাদিসের আলোকে বুঝা যায়, ইচ্ছাকৃত জুমআ পরিত্যাগ করলে আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তি পুরোপুরি গো'মরাহ করে দেন। হেদায়েত থেকে বঞ্চি'ত করেন। (নাউজুবিল্লাহ) অন্য হাদিসে এসেছে-
জগৎ বিখ্যাত মুফাসসির হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি পর পর তিন জুমআ পরিত্যাগ করলো, সে যেন ইসলামকেই পেছনের দিকে নিক্ষে'প করলো।’ (মুসলিম)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাযথভাবে জুমআ আদায় করার তাওফিক দান করুন।আমিন।