ইসলাম ডেস্ক : কুরআন মুসলমানদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ। ইসলামী ইতিহাস অনুসারে দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে খণ্ড খণ্ড অংশে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর নিকট অবতীর্ণ হয় পবিত্র কুরআন। একজন মুসলমান হিসেবে অবশ্যই আমাদের কুরআন পড়া উচিৎ। যুগ যুগ ধরে বহু মানুষ কোরআনের সেবা করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবিকতায় এবার পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা কুরআন শরিফ হাতে লিখে শেষ করেছেন পাকিস্তানের ফয়সালাবাদের বাসিন্দা ইমতিয়াজ হায়দার।
ডেইলি পাকিস্তানের এক ভিডিও সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, তিন হাজার চার শত এগার ফুট লম্বা এ কুরআন শরিফটি লিখতে তার সময় লেগেছে দীর্ঘ এক বছর। কিলোমিটার হিসাবে যা ১.২৫ কিলোমিটারের সমান। এটি সম্পন্ন করতে প্রতিদিন প্রায় ত্রিশ ফুট লিখতে হয়েছে তাকে। চারশর মত কলম লেগেছে এটি লিখতে।
এ কুরআন শরিফে মোট চার রকমের কালি ব্যবহার করেছেন তিনি। কালো কালিতে আয়াত, লাল কালিতে টিকা, নীল কালিতে শিরোনাম, আর গ্রাউন্ড রাখা হয়েছে সাদা কালির।
ইমতিয়জ হায়দার শুধু কুরআন শরিফ লিখেই ক্ষান্ত হননি। এর পাশাপাশি আল্লাহ তাআলার নিরানব্বই আল আসমাউল হুসনা এবং নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র নাম সমূহও লিপিবদ্ধ করেন।
মাত্র এক বছরের মধ্যে পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা কুরআন শরিফের লিখার কাজ, হরকত এবং সাজসজ্জা সম্পন্ন করা ইমতিয়াজ হায়দারের অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি ডেইলি পাকিস্তানকে বলেন, ‘আল্লাহ তাআলার একান্ত অনুগ্রহ ছাড়া এ মহান কাজ সাধনের সামর্থ আমার আক্ষরিক অর্থেই ছিল না।
আমি কেবল শুরু করেছিলাম আল্লাহর নাম নিয়ে, বাকি কাজ এগিয়ে গিয়েছে আল্লাহর অশেষ কৃপায়। আল্লাহ অপার অনুগ্রহে এ উদ্যোগটি সম্পন্ন করার পর হৃদয়ে যে অপার্থিব অনুভূতি কাজ করেছে তা সর্বোতভাবেই ভাষার অতীত। আল্লাহ তাআলা যেনো এ কাজটিকে আমার নাজাতের উসিলা বানান।
প্রসঙ্গত, এর আগে হাতে লেখা বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা কুরআন শরিফের রেকর্ডটি ছিল মিসরের সাদ মুহাম্মদের দখলে। যা লম্বায় ছিল তেইশ শত ফুট।