ইসলাম ডেস্ক: মানব চরিত্রের উৎকর্ষ সাধনই ইসলামের মূল লক্ষ্য। তাই সবর বা ধৈর্যের অর্থ হলো দুঃখ-ক'ষ্ট, রোগ-শোক, বি'পদ-আপ'দ ও বি'চ্ছেদের মতো সংকটে বিচ'লিত ও অ'স্থির না হয়ে ওই সংকট থেকে উত্তরণের সর্বাত্মক চেষ্টা করা এবং আল্লাহর সাহায্যের প্রতীক্ষায় থাকা।
মানুষের দুঃখ-কষ্ট, বিপদ-আপদ, বালা-মুসিবতসহ যাবতীয় প্রয়োজন ও সব সংকটের নিশ্চিত প্রতিকার দুটি বিষয়ে নিহিত। একটি ‘সবর’ বা ধৈর্য, অপরটি ‘সালাত’ বা নামাজ। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন।’
পবিত্র কু’রআনে এমন কিছু আয়াত রয়েছে যেগুলো আমাদেরকে জীবনের বাস্তবতা মনে করিয়ে দেয়। কিছু আয়াত রয়েছে যা আমাদেরকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়: আমরা কীভাবে নিজেরাই নিজেদের জীবনটাকে ক'ষ্টের মধ্যে ফেলে দিই। আর কিছু আয়াত রয়েছে যা আমাদেরকে জীবনের সব দুঃখ, ক'ষ্ট, ভ'য় হাসিমুখে পার করার শক্তি যোগায়। এরকম একটি আয়াত হলো-
“আমি অবশ্যই তোমাদেরকে কিছু না কিছু দিয়ে পরীক্ষায় ফেল'বোই: মাঝে মধ্যে তোমাদেরকে বিপ'দের আত'ঙ্ক, ক্ষু'ধার ক'ষ্ট দিয়ে, সম্পদ, জীবন, পণ্য-ফল-ফসল হা'রানোর মধ্য দিয়ে। আর যারা ক'ষ্টের মধ্যেও ধৈর্য-নি'ষ্ঠার সাথে চেষ্টা করে, তাদেরকে সুখবর দাও।” [আল-বাক্বারাহ ১৫৫]
আবার নামাজ দিয়েই আমরা ধৈর্যকে দীর্ঘায়িত করতে পারি। কারণ যাবতীয় সমস্যার সমাধান নামাজে। মানুষের যাবতীয় সমস্যা, বিপদ-আপদ ও সংকট দূর করার এবং যাবতীয় প্রয়োজন মেটানোর ক্ষেত্রে আরেকটি পন্থা হচ্ছে নামাজ।
এছাড়াও নামাজ এমন একটি ইবাদত, যাতে সবর তথা ধৈর্যের পরিপূর্ণ নমুনা বিদ্যমান। কেননা, নামাজের মধ্যে একাধারে যেমন নফস তথা রিপুকে আনুগত্যে বাধ্য রাখা হয়, তেমনি যাবতীয় নিষিদ্ধ কাজ, নি'ষিদ্ধ চিন্তা এমনকি অনেক হালাল ও মোবাহ বিষয় থেকেও সরিয়ে রাখা হয়
আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর অভ্যাস ছিল, যখনই তিনি কোনো ক'ঠিন সমস্যায় সম্মুখীন হতেন, তখনই নামাজ আরম্ভ করে দিতেন। আর আল্লাহ তায়ালা সে নামাজের বরকতেই তাঁর যাবতীয় বিপদ-আপদ দূর করে দিতেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, মহানবী (সা.) কে যখনই কোনো বিষয় চিন্তিত করে তুলত, তখনই তিনি নামাজ পড়া শুরু করে দিতেন।