ইসলাম ডেস্ক: চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ সদরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আবদুল আউয়াল। তার বয়স ৯ এর কো'টা'য়। তবে তার মে'ধা'র প্র'খ'রতা রয়েছে বি'শা'ল। এরইমধ্যে স্কুলে পড়ার পা'শাপা'শি জামালুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসায় ভর্তি হয়ে মাত্র সাড়ে চার মাসেই কোরআনে হাফেজ হওয়ার গৌ'র'ব অর্জ'ন করেন তিনি।
আবদুল আউয়াল উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউপির দক্ষিণ ক'ড়ৈত'লী গ্রামের মৌলভি বাড়ির মো. মোশারফ হোসেন ও মাজেদা আক্তার দ'ম্প'তির বড় ছেলে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, চাচা মুফতি মুনওয়ার ও দাদির ই'চ্ছা অ'নুযায়ী ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট চাঁদপুরের ডিসি কার্যালয়ের পাশের জামালুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসায় আব্দুল আউয়ালকে ভ'র্তি করা হয়। ভ'র্তির পর নূ'রানি ও নাজিরা শাখায় সাফ'ল্যের দে'খা পান তিনি। পরে ৩১ আগস্ট তাকে হিফজ বিভাগে স্থা'না'স্ত'র করা হয়। মাঝে তৃতীয় শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার জন্য ছু'টি নেন আউয়াল। পরে আবারো মাদরাসার পড়ায় ম'নো'যো'গ দেন তিনি। পরে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি তিনি কোরআনে হাফেজের স্বী'কৃ'তি পান।
আবদুল আউয়ালের বাবা মোশারফ হোসেন জানান, ২০১০ সালের ২ নভেম্বর আবদুল আউয়াল জ'ন্মগ্রহ'ণ করে। প্রথম থেকেই তার মে'ধা'র পরি'চয় পাওয়া যাচ্ছিল। তিনি যে স্কুলে শিক্ষকতা করেন, সেখানে ছেলেকে নিয়ে যে'তেন। আচ'র'ণে দু'ষ্টু হলেও লেখাপড়ায় আউয়াল দু'র্দা'ন্ত। তাই চাচা ও দাদির ই'চ্ছায় আউয়ালকে মাদরাসায় ভ'র্তি করা হয়।
জামালুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাওলানা ইবনে আহমদ ওয়ালী উল্ল্যাহ জানান, এক বছরের ভেতরে নূরানি ও নাজিরা শে'ষ করেন আউয়াল। ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট হিফজ বিভাগে তাকে স্থা'না'ন্ত'র করা হয়। এরপর সাড়ে চার মাসেই কোরআনে হাফেজ হন তিনি। আউয়াল অ'ল্পতেই পড়া মুখ'স্থ করতে পারতেন।