ইসলাম ডেস্ক: দীর্ঘ ৫০ বছর অপেক্ষার পর মসজিদ নির্মাণের অনুমতি লাভ করে মধ্য ইউরোপের দেশ স্লোভেনিয়া। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম জুমআ নামাজ আদায় করে দেশটিতে বসবাসরত মুসলিম মুসল্লিরা।
মসজিদটি স্লোভেনিয়ার রাজধানী লুজলজানার আধা-শিল্প অঞ্চলে অবস্থিত। এ দিন শত শত মুসল্লির জুমআ নামাজে অংশগ্রহণ করেন। জুমআর নামাজে ইমামতি করেন দেশটির একজন খ্যাতনামা আলেম ও মুফতি নিদজাদ গ্রাবোস।
বিভিন্ন মহলের বিরোধিতা ও প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি আর্থিক সংকটের কারণে মসজিদটি উদ্বোধনে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়। স্লোভেনিয়ার রাজধানী লুজলজানায় আধা-শিল্প অঞ্চলে অবস্থিত এই মসজিদটিতে একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে প্রায় ১৪০০ মুসল্লি।
দেশটিতে বসবাসরত মুসলিমরা কোনো প্রতিবন্ধকতা ও বিরোধিতা পিছু হটেনি। দেরিতে হলেও তাদের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। সফলতার মুখ দেখেছে তারা। নিজেদের ইবাদতের জন্য পেয়েছে সুনির্দিষ্ট স্থান ও দৃষ্টিনন্দন মসজিদ।
উল্লেখ্য যে, মধ্য ইউরোপের দেশ স্লোভেনিয়ায় মসজিদ না থাকার অভিযোগে ২০১৫ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ার মুসলিম শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল দেশটি।
সে সময় তারা কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন যে, ‘দেশটিতে মুসলিমদের জন্য কোনো মসজিদ নেই। স্লোভেনিয়ায় তাদের আশ্রয় দিলে তারাই সমস্যার মুখোমুখি হবে।
সেই স্লোভেনিয়ায় মসজিদ নির্মাণ নিঃসন্দেহে সেসব মুসলিমদের জন্য সুখবর, যারা দীর্ঘদিন ধরে মসজিদের দাবি করে আসছিল; আবার যেসব মুসলিম শরণার্থীরা ইতোমধ্যে আশ্রয় নিয়েছে দেশটিতে তাদের জন্য এটি সুসংবাদ।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি তারা জুমআ নামাজ আদায়ের মাধ্যমে তাদের সে স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছে। আলহামদুলিল্লাহ! শুকরিয়া সেই মহান প্রভুর, যিনি শত প্রতিকূলতা ও আর্থিক সংকটের মাঝেও স্লোভেনিয়ার মুসলিমদের মসজিদ নির্মাণ এবং তাতে নামাজ আদায় করার তাওফিক দিয়েছেন।