ইসলাম ডেস্ক: খাজা মুহাম্মদ আব্দুল হালিম। ৩৯ বছর ধরে বাংলাদেশ রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীতে চাকরি করছেন। প্রায় এক বছর সময়ে তিনি ডায়েরির ৩১৪ পৃষ্ঠায় পুরো কুরআন হাতে লিখে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেন।
১৯৫৮ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে যোগদান করেন আব্দুল হালিম। সে সময় চট্টগ্রাম ট্রেনিং ক্যাম্পে অবসর সময়ে মসজিদের ইমামের কাছে কুরআন শেখেন।
খাজা মুহাম্মদ আব্দুল হালিম প্রায় ২০ বছর আগে পবিত্র কুরআন লেখার কাজ শুরু করেন। তার কুরআন লেখার কাজ দুটি ডায়েরিতে সম্পন্ন হয়। পাঁচটি কলমের সাহায্যে তিনি পুরো কুরআন লিখে শেষ করেন। কুরআন লিখতে গিয়ে যখনই কোনো কলম শেষ হয়েছে তখনই তা পবিত্রতার স্বার্থে যমুনায় ফেলে দিয়েছেন আব্দুল হালিম।
খাজা মুহাম্মদ আব্দুল হালিম সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৮ সালে নিরাপত্তা বাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) হিসেবে অবসরে যান।
অবসরের পর তিনি মাত্র এক বছর সময়ে পুরো কুরআন লেখা শেষ করেন। তার হাতে লেখা কুরআনের অনুলিপিটি মানুষের পরিদর্শনের জন্য তিনি জাতীয় জাদুঘরে দান করেন।
৩১৪ পৃষ্ঠায় লেখা কুরআনের এ অনুলিপি লেখার কাজে তিনি রাতকেই বেঁচে নিতেন। প্রতিদিন মাগরিবের নামাজের পর তিনি নিয়মিত কুরআন লিখতে বসতেন।
চাকরি জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করে তিনি পুরো কুরআন হাতে লেখে সর্ব মহলে যেমন আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তেমনি তিনি অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে সমাজের সর্বস্তরে অবসর নেয়া মানুষের জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন। আল্লাহ তাআলা তার কুরআনের এ অসামান্য খেদমতকে কবুল করুন। আমিন।