ইসলাম ডেস্ক : নাম তার আবদুল্লাহ আল হায়দার (৩০)। বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায়। উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামের মৃত. শরীফ আব্দুল্লাহ হারুনের ছেলে সে। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট হায়দার দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাব বিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন।
গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ডে দেশের ও নিজের নাম লেখানোর স্বপ্ন থেকে সেগুন কাঠ দিয়ে ২৮ ফুট লম্বা একটি কলম তৈরি করেছেন তিনি। কলমের গায়ে তিনি আরবীতে আল্লাহর ৯৯টি নাম ও পবিত্র কোরআনের ১১৪টি সুরার নাম খোদাই করেছেন।
ইতোমধ্যেই হায়দার কলমটিকে (বলপয়েন্ট) বিশ্বের সর্ববৃহৎ বল পয়েন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিতে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে আবেদনও করেছেন। স্বীকৃতি পেতে হলে গিনেজ বুক কর্তৃপক্ষের দেয়া ৬১টি শর্ত পূরণ করতে হবে হায়দারকে। তার দাবি, তিনি সবগুলো শর্তই পূরণ করেছেন।
কলম তৈরির বিষয়ে হায়দার বলেন, ‘কলমটি ২৫ ফিট লম্বা একটি সেগুন গাছ দিয়ে তৈরি। গাছটি ২৮ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করি। গাছটি কেটে এর মধ্যে স্টিলের পাইপ বসিয়ে কলাম বানাই। কলমের দৈর্ঘ্য ২৭ দশমিক ৮ ফুট (৮ দশমিক ৪৭ মিটার) ও এর প্রস্থ ১৮ ইঞ্চি। এর ওজন ৭৮ কেজি।
কলমের ১৫ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের নিপ বানাতে মাস্টার ক্রাফটম্যানশিপ ওয়ার্কশপের হেড ট্রেইনার জাহিদ হোসেন সহযোগিতা করেছেন। আর নির্ভুল আরবি নকশায় সাহায্য করেন দুই মাদ্রাসা শিক্ষক।’
হায়দার বলেন, ‘কলম তৈরির জন্য ১৫ দিন আরবি লেখার চর্চা করি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় বল পয়েন্ট কলম হিসেবে স্বীকৃতি পেতে আবেদন করেছি। কর্তৃপক্ষ আবেদন গ্রহণ করে ৬১টি শর্ত দিয়েছেন। সকল শর্তই পূরণ করেছি।’
নথিপত্র দেখে জানা গেছে, কলমের বিষয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে আবেদন করেন আব্দুল্লাহ। কর্তৃপক্ষ উত্তর দিয়ে আগামী ১২ সপ্তাহের মধ্যে আব্দুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করবে বলে জানিয়েছেন।
হায়দার জানান, ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে ভারতের হায়দ্রাবাদের আচার্য মুকুনুরি শ্রীনিভাসা নামে এক ব্যক্তি ৩৭ দশমিক ২৩ কেজি ওজনের সাড়ে পাঁচ মিটার (১৮ দশমিক ৫৩ ফুট) দৈর্ঘ্যরে একটি বল পয়েন্ট কলম তৈরি করে রেকর্ড করেছিল।
তিনি জানান, রেকর্ডসে নাম লেখাতে পারলে কলমটি তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানকে উপহার দিতে চান।