আবদুস শহীদ নাসিম: রোম সাম্রাজ্য। রসুলুল্লাহ সা এর প্রতি অহি নাজিলকালেও আরবদের বিশাল সিরিয়া অঞ্চল রোম সাম্রাজ্যের করতলগত ছিল। কুরআনে রোম নামে একটি সুরাও রয়েছে। সূরাটির শুরুতেই এ সাম্রাজ্যের পরাজয় ও জয়ের একটি আভাস আছে। রসুলুল্লাহ সা তাঁর জীবদদশাতেই এ সাম্রাজ্যের বিরূদ্ধে দুটি অভিযান পরিচালনা করেন। তিনিই নিজেই এর একটির নেতৃত্ব প্রদান করেন।
খোলাফায়ে রাশেদীনের পুরো আমল জুড়েই এই সাম্রাজ্যের বিরূদ্ধে যু'দ্ধ হয় এবং সিরিয়া মুসলিমদের অধীনে আসে। উমর রা এর আমলে সিরিয়া যু'দ্ধের নেতৃত্ব প্রদান করা হয় খালিদ বিন অলিদের রা উপর। তারপর আবু উবায়দা এবং মুয়ায রা এর উপর। আবু উবায়দা রা যখন বিজিত অঞ্চল সমুহের শাসক আর বাকি অঞ্চল সমুহ বিজয়ের জন্যে সেনাপতি। এসময় মুসলিমদের অবস্থানের অঞ্চলে মহামা'রী দেখা দেয়।
মহামারীতে শাসক ও সেনাপতি আবু ওবায়দা রা মা'রা যান। তারপর তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয় মুয়াযকে রা। কিন্তু তিনিও ঐ মহামা'রীতে মা'রা যান। অতঃপর তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয় আমর ইবনুল আসকে রা।
তিনি দায়িত্বে এসেই সবার উদ্দেশ্যে মহামা'রি বিষয়ে এক ভাষণ প্রদান করেন। তিনি বলেন: "হে লোকেরা! মহামা'রীর উপমা হলো আ'গুন। আর আপনারা হলেন এর জ্বা'লানি। সুতরাং আপনারা এক জায়গায় জড়ো হয়ে থাকবেন না, জড় হবেন না। আপনারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিচ্ছিন্ন (আইসোলেটেড) হয়ে যান, পাহাড়ে উঠে যান। তখন আ'গুন আর তার জ্বা'লানি পাবে না, বিস্মৃতিরও সুযোগ পাবেনা। তখন সে আপনিতেই নিভে যাবে।"
"আপনারা এ আদেশ নিষ্ঠার সাথে পালন করুন এবং নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। অতঃপর আল্লাহ তায়ালার নির্ধারিত তকদিরের সুসংবাদ অপেক্ষা করতে থাকুন।"
সবাই এ আদেশ ঠিক ঠিকভাবে পালন করেন। অতঃপর আল্লাহর রহমতে সবাই নিরাপদ থাকেন এবং মহামা'রী দূর হয়ে যায়। আলহামদুলিল্লাহ।
বর্তমান করোনা মহামা'রী থেকে রক্ষা পাওয়া এভাবে আইসোলেশনের মাধ্যমেই সম্ভব ইনশাআল্লাহ।