ইসলাম ডেস্ক: রমজান মাসকে বলা হয়, ইবাদতের বসন্তকাল। এ মাসে মুমিনমাত্রই ইবাদত-বন্দেগির আগ্রহ, গোনাহ ব'র্জনের প্রেরণায় নিজেকে মশগুল রাখার চেষ্টা করে। আল্লাহতায়ালার হুকুম পালনের উদ্দেশ্যে রোজা পালনে রোজাদার ব্যক্তিই অনুভব করেন হৃদয়ের সতেজতা। এ লক্ষে চলে নানা প্রস্তুতি।রমজানের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মক্কার মসজিদে হারাম কর্তৃপক্ষ তারাবির ইমামের স্থান নির্ধারণসহ প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ শেষ করেছে।
হারামাইন অর্থ দুটি হারাম বা দুটি সম্মানিত স্থান। মক্কা শরিফ ও মদিনা শরিফকে একত্রে হারামাইন শরিফাইন বলা হয়। হারাম শরিফের প্রাণকেন্দ্র মসজিদে হারাম। এর কেন্দ্রস্থলে কালো বর্ণের চতুষ্কোণ ঘরটিই হলো বায়তুল্লাহ শরিফ বা মহান আল্লাহর সম্মানিত কাবাঘর।
সম্প্রতি মিজাবে রহমত পরিষ্কার করা হয়েছে। ইসলামি বিধানমতে মক্কা শরিফে অবস্থানকালে নির্ধারিত ইবাদত ছাড়া সবচেয়ে বেশি পুণ্যময় ইবাদত হলো- বায়তুল্লাহ শরিফ তথা খানায়ে কাবা তাওয়াফ করা। আর রমজানে সব ইবাদতের সওয়াব বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এবার করোনার কারণে উমরা, তাওয়াফ, ইতিকাফসহ সর্ব সাধারণের জন্য কাবার দরজা বন্ধ।
এমতাবস্থায় কাবা পরিষ্কারের ছবি দেখে বেশি আবেগ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। যে আবেগে মিশে আছে কান্না। এ কান্না শুধু বিষাদময় রমজান কাটানোর ভয়ে নয়, আল্লাহর রহমত চেয়েও।