মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৩:২৫:০৪

যে ব্যক্তির উপর আল্লাহ পাক দশবার রহমত বর্ষণ করেন

যে ব্যক্তির উপর আল্লাহ পাক দশবার রহমত বর্ষণ করেন

ইসলাম ডেস্ক: আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) শুধু মানব জাতিই নয়, সমগ্র বিশ্ব জাহানের শন্তির দূত। মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনে সূরা আম্বিয়ার ১০৭ নং আয়াতে বলেন-আমি আপনাকেই শুধুমাত্র সমগ্র বিশ্ব জাহানের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছি। যিনি আমাদের জন্য রহমত। তাঁর প্রতি দরূদ পাঠের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারিমে তা উল্লেখ করেছেন। নিচে এমটি নিউজের পাঠকদের জন্য দরূদ পাঠের ফজিলত তুলে ধরা হলো- তাঁর প্রতি দরূদ পাঠের হুকম- আল্লাহ বলেন- “নিশ্চয় আল্লাহ এবং তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি দরূদ পাঠান। হে ঈমানদারগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পাঠাও।” (সূরা আল-আহযাব : আয়াত ৫৬)। হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর উপর দরূদ পাঠের গুরুত্ব সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ নবীর প্রতি অনুগ্রহ করেন এবং তাঁর ফেরেশতাগণও তাঁর জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করে। যে ঈমানদারগণ তোমরাও নবীর জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করো এবং তাঁকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।’ (সূরা আহযাব-৫৬)। নবীজী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করবে, তাঁর বিনিময়ে আল্লাহ তার উপর দশবার রহমত বর্ষণ করবেন। (মুসলিম-১/২৮৮)। নবীজী (সা.) আরো বলেছেন, ‘তোমরা আমার কবরকে পূজনীয় মূর্তিতে পরিণত করো না। তোমরা আমার উপর দরূদ পাঠ করো। কেননা, তোমরা যেখানেই থাকো না কেন, তোমাদের দরূদ আমার কাছে পৌঁছায়।’ (আবু দাউদ-২/৩৬৭) মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) অপর এক হাদিসে উল্লেখ করেছেন, যার সামনে আমার নাম উল্লেখ করা হলো এবং সে আমার উপর দরূদ পড়লো না সে বড়োই কৃপণ। (তিরমীযী-৫/৫৫১) রাসূল (সা.) আরও বলেন, ‘পৃথিবীতে আল্লাহ পাকের একদল ভ্রাম্যমাণ ফেরেশতা রয়েছে যারা উম্মতের পক্ষ থেকে প্রেরিত সালাম আমার কাছে পৌঁছে দেয়। (নাসাঈ, হাকেম) ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪ডটকম/জুবায়ের রাসেল

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে