ইসলাম ডেস্ক : রহমাত, মাগফিরাতের পর মুক্তির বার্তা নিয়েছে এসেছে নাজাত। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘রমজানের প্রথম দশক হলো রহমতের, মধ্য দশক হলো মাগফিরাতের, শেষ দশক হলো নাজাতের।’ প্রথম দশকে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের প্রতি রহমত বা দয়া বর্ষণ করেন। দ্বিতীয় দশকে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের ক্ষমা করেন। তৃতীয় দশকে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের জাহান্নাম থেকে নাজাত বা মুক্তি দিয়ে থাকেন।
রমজানের শেষ দশক হলো নাজাতের। নাজাতের বাহ্যিক অর্থ ছাড়াও এর রয়েছে তাত্ত্বিক এক নিগূঢ় রহস্য। রমজান হলো তাকওয়া অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণের মাস। তাই আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআন কারিমে বলেছেন, হে মুমিনগণ! তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। আশা করা যায় যে, তোমরা তাকওয়া অর্জন করবে। (সূরা বাকারার ১৮৩ নম্বর আয়াতে)
রমজান মাসের শেষ দশক যেহেতু নাজাত বা মুক্তির, সুতরাং এই ১০ দিন আমাদের করণীয় হবে দুনিয়ার সবকিছুর আকর্ষণ ও মোহ থেকে মুক্ত হয়ে প্রভুপ্রেমে বিভোর হওয়া। বিশেষ করে সব ধরনের অন্যায় অপরাধ, পাপ ও গুনাহ, যা জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হয়। অবৈধ সম্পদ, অন্যায় ক্ষমতা লিপ্সা ও পাপাচার, এগুলো থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ মুক্ত করা এবং সেসবের আকর্ষণ থেকে পরিপূর্ণরূপে মোহমুক্ত হওয়া।
হাদিস শরিফে আছে, দুনিয়ার আকর্ষণ সব পাপের মূল। (বুখারি, মুসলিম ও তিরমিজি) আপনি নাজাত বা মুক্তি লাভ করেছেন বা মুক্তির অধিকারী হয়েছেন, তা বোঝা যাবে আপনার আচরণে যদি মোহমুক্ত ভাব প্রকাশিত হয়; নয়তো নয়। তাই রমজানের তৃতীয় দশক নাজাতের বা মুক্তির ১০ দিন করণীয় হলো দুনিয়ার সবকিছুর আকর্ষণ থেকে সম্পূর্ণ মোহমুক্ত হওয়া।
মহান আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের গুণ অর্জন ও আজীবন ধারণ করাই রমজানের মূল শিক্ষা। আল্লাহ পাক আমাদের প্রকৃত দয়া, ক্ষমা ও মুক্তিলাভের তাওফিক দিন। আমিন!