ইসলাম ডেস্ক : রোজা শুধু পানাহার বর্জন করার নাম নয়। স্বয়ং আল্লাহ- আল্লাহর রাসুল বলছেন এ কথা। বরং এটা রোজার একটা অংশ। প্রকৃত রোজা তাহলে কী? নবীজি (স) বলছেন, প্রকৃত রোজা হচ্ছে বেহুদা কথা, ঝগড়া ফাসাদ, তর্কবিতর্ক অশ্লীল খারাপ আলোচনা ইত্যাদি যাবতীয় গুনাহর কাজ থেকে ফিরে থাকার নাম।
তাহলে আপনি একবার মিলিয়ে নেন নবীজীর ঐ পদ্ধতিমতো শুধুমাত্র একটি খেজুর পানি দিয়ে ইফতার করে সাধারণ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে যে শারীরিক প্রশিক্ষণ চলছে একমাস; শারীরিক ফিটনেস চলে আসবে। ঠিক একই সাথে আমি যদি বেহুদা কথা থেকে মুক্ত থাকি, তর্কবিতর্ক বন্ধ করি, গালিগালাজ না করি, গীবত না করি, রিএকটিভ না হই, তাহলে আরেক দিক থেকে আমার আত্মিক শক্তি জাগ্রত হবে। জৈবিক শক্তির শৃঙ্খলে যে আত্মিক শক্তি বন্দী হয়ে আছে অতিরিক্ত লোভলালসা, রাগ ক্ষোভ ঘৃণা হিংসা বিদ্বেষের মাধ্যমে সেই শৃঙ্খলগুলো আস্তে আস্তে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আমার আত্মা মুক্ত হচ্ছে, মুক্তি পাচ্ছে।
তাহলে রোজার এই দুটো দিক আমাদেরকে অন্তত লালন করতে হবে। কারণ প্রচলিত অর্থে দেখাদেখি রোজা তো আমরা রাখতে চাই না। কষ্ট তো সমানই হচ্ছে। বরং তাদের কষ্ট আরো বেশি হচ্ছে। আর আমরা যখন বুঝব তখন এর ভিতরে থাকবে আনন্দ। কারণ আমি আমার শরীরের ফিটনেস ফিরিয়ে আনার জন্যে পানাহার বর্জন করছি মালিকের ইচ্ছায়। আমি রাগ ক্ষোভ ঘৃণা হিংসা ক্রোধকে নিয়ন্ত্রণ রাখছি, ঝগড়া ফাসাদ থেকে মুক্ত থাকছি কি জন্যে? মালিক বলছেন এটা করলে আমার আত্মিক শক্তি জাগ্রত হবে। আর আমার যদি আত্মিক শক্তি জাগ্রত হয়, শারীরিক ফিটনেস ফিরে আসে, তাহলে আমার ব্যর্থতা কোথায়!
চূড়ান্ত সাফল্য প্রদানের জন্যেই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সামনে এই রোজাকে উপস্থাপন করেছেন।