ইসলাম ডেস্ক: শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা)-এর উম্মত হওয়া শর্তেও কিছু ব্যক্তি কখনোই জান্নাতে প্রবেশ করতে পাবে না। কারা ওই বিশেষ শ্রেণিভুক্ত লোক, সহিহ হাদিসের আলোকে নিচে তা আলোচনা করা হলো-
পবিত্র ধর্ম ইসলামে আত্মহত্যা নিষিদ্ধ। যিনি নিজেই নিজের প্রাণ বিনাশ করেন, তিনি আত্মঘাতক কিংবা আত্মঘাতী। আত্মঘাতকদের কেউ কেউ বিভিন্ন উপায়ে এক বা একাধিক ব্যক্তিকে হত্যার জন্য নিজের জীবনকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। কিংবা নিজেই এক ধরনের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ইতিহাসে বেশ কিছু নৃশংস আত্মঘাতী হামলার উদাহরণ রয়েছে। হাল সময়ে আত্মঘাতী হামলার প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে আত্মঘাতী হামলা বেড়েছে।
আত্মঘাতী হামলা ও আত্মহত্যা প্রসঙ্গে ইসলামের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। আত্মঘাতী হামলা ও আত্মহত্যা প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘আর তোমরা নিজেদের জীবনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিও না। মানুষের সঙ্গে সদাচরণ কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ সদাচরণকারীদের ভালোবাসেন।’ -সূরা বাকারা : ৯৫
এক হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের মধ্যে এক ব্যক্তি আঘাতের ব্যাথা দুঃসহ বোধ করে আত্মহত্যা করে। দয়মায় আল্লাহতায়ালা তার সম্পর্কে বলেন, আমার বান্দা আমার নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই নিজের জীবনের ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আমি তার জন্য জান্নাত হারাম করলাম।’-সহিহ বোখারি : ১/১৮২
আরেক হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি লৌহাস্ত্র দ্বারা আত্মহত্যা করে জাহান্নামে তাকে লৌহাস্ত্র দ্বারা সর্বক্ষণ শাস্তি দেওয়া হবে।’ –সহিহ বোখারি : ১/১৮২