মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২০, ০৯:৪৩:০৩

কুমিল্লায় ৩০০ বছরের আগের ক্ষুদ্র কোরআন শরিফের সন্ধান

কুমিল্লায় ৩০০ বছরের আগের ক্ষুদ্র কোরআন শরিফের সন্ধান

কুমিল্লায় ক্ষুদ্র আকারের পবিত্র কোরআন শরিফের প্রাচীন কপির সন্ধান পাওয়া গেছে। দাবি করা হচ্ছে, এটি দেশের অন্যতম প্রাচীন ক্ষুদ্র কোরআন শরিফ। এটি বংশ পরম্পরায় সংরক্ষিত আছে নগরীর তালপুকুর এলাকার পরিবহন ব্যবসায়ী জামিল আহমেদ খন্দকারের কাছে। কোরআন শরিফের দৈর্ঘ্য দেড় ইঞ্চি, প্রস্থ এক ইঞ্চি ও পুরো এক ইঞ্চির চার ভাগের এক ভাগ। 

ছাপার অক্ষরের কোরআন শরিফটি খালি চোখে পড়া ক'ঠিন। এটি আতশিকাচের নিচে রেখে পড়া যায়। সেকালের জন্য এটি ক্ষুদ্র আকারের হলেও মুদ্রণ শিল্পের উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে এরচেয়ে আরও ছোট আকারের কোরআন শরিফ পাওয়া যায়। যা অনেকে গলায় মাদুলির মতো ব্যবহার করেন। জামিল আহমেদ খন্দকার জানান, তার পূর্ব পুরুষরা ইয়েমেন থেকে এদেশে আসেন। তারা কোরআন শরিফটি এনেছেন বলে ধারণা করছি। বংশ পরম্পরায় তার হাতে রয়েছেন। তার ২১ বছর বয়সে বাবা আবদুল মতিন খন্দকার মা'রা যান। তাই তিনি কোরআন শরিফটি সম্পর্কে জানতে পারেননি। অনেক দিন এটা কোথায় ছিল তা তিনি জানতেন না। সম্প্রতি আলমারিতে এটির খোঁ'জ পান।

ইতিহাস গবেষক আহসানুল কবির বলেন, কোরআন শরিফটি ৩০০ বছরের আগের হতে পারে। এটি দেশের অন্যতম ক্ষুদ্র প্রাচীন কোরআন শরিফ বলে ধারণা করছি। তবে হস্তবিদরা এটির বয়স সম্পর্কে ভালো ধারণা দিতে পারবেন। ইসলামী ইতিহাস গবেষক সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে ক্ষুদ্র আকারের কোরআন শরিফ ছাপা বা লেখা হতো না। এগুলো বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছে। ২০০ বছর আগে পাকিস্তানের পেশোয়ারে ক্ষুদ্র কোরআন শরিফ ছাপা হতো। সেখানের লোকজন পবিত্রতার স্মারকস্বরূপ ক্ষুদ্র কোরআন শরিফ পকেটে রাখত।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে