সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১২:৫৭:১৫

ইসলাম নারীকে পর্দার মাধ্যমে যেভাবে সম্মানিত করেছে

ইসলাম নারীকে পর্দার মাধ্যমে যেভাবে সম্মানিত করেছে

ইসলাম ডেস্ক: ইসলামে নামাজের মত পর্দাও ফরয ইবাদত। নারীদের পর্দার বিষয়ে ইসলামে কড়া নির্দেষনা দেয়া হয়েছে। একজন নারী, যিনি তার পোশাক ও চলাফেরায় পর্দার নিয়মাবলী পালন করে থাকেন, তিনি সাধারণত অন্য পুরুষ দ্বারা অসম্মানিত ও লাঞ্ছিত হন না। এভাবে একজন মুসলিম নারী পর্দা পালনের মাধ্যমে অনেক সমস্যা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারেন। ইসলাম পর্দা প্রথার মাধ্যমে নারী জাতিকে মর্যাদা ও সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করেছে এবং তাকে এমন এক নিরাপত্তা দান করেছে।

এ বিষয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরানে ইরশাদ করেছেন, ‘হে নবী, তুমি তোমার স্ত্রীদের, কন্যাদের ও মুমিনদের স্ত্রীদের বল, তারা যেন তাদের ‘জিলবাবে’র কিছু অংশ নিজেদের ওপর ঝুলিয়ে দেয়। তাদের চেনার ব্যাপারে এটাই সবচেয়ে কাছাকাছি পন্থা হবে। ফলে তাদের কষ্ট দেয়া হবে না। আর আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়াময়’। ইসলামের পর্দা ব্যবস্থা নারীকে শৃঙ্খলিত করার পরিবর্তে তাকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে, সমাজে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছে। পবিত্র কোরানের সুরা নূরে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘মুমিন পুরুষদের বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয় তারা যা করে, সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত (সুরা নূর : ৩১)। আর মুমিন নারীদের বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না।

তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজেদের ছেলে, ভাই, ভাইয়ের ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীরা, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌন কামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো সামনে নিজেদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজেদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণাও না করে। হে মুমিনরা, তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার (সুরা নূর : ৩২)।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে