ইসলাম ডেস্ক : চুল ও দাঁড়ি পাকা নিয়ে গবেষণার শেষ নেই। এর কারণ উদঘাটন ও প্রতিকার নিয়ে লেখালেখিও কম হয়নি। এ নিয়ে গবেষণা ও লেখালেখি চলতেই থাকবে। কিন্তু চুল পাকা নিয়ে ইসলাম বলে ভিন্ন কথা। হাদিসের দিকনির্দেশনায় পাকা চুল ও দাঁড়ি উঠাতে নিষেধ করেছেন বিশ্বনবি। ইসলামে কেন পাকা চুল ও দাঁড়ি উঠানো নিষেধ?
পাকা চুল মানুষের জন্য রহমত। হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাকা চুল উঠাতে নিষেধ করেছেন। মানুষের চুল পাকায় রয়েছে অনেক ফজিলত ও মর্যাদা। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা সাদা চুল উঠাবে না। কারণ এগুলো কেয়ামতের দিন নূর হবে। আর যে (মুসলিম) ব্যক্তির চুল বার্ধক্যের কারণে সাদা হয় তার প্রতিটি সাদা চুলের বিপরীতে একটি করে সাওয়াব লেখা হয়, একটি করে গোনাহ মাফ করা হয় এবং একটি করে মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়া হয়।’ (ইবনু হিব্বান)
হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ নাসাঈ ও মিশকাতের বর্ণনায় এসেছে, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাকা চুল তুলতে নিষেধ করেছেন। কারণ পাকা চুল হলো মুসলমানের জ্যোতি। কোনো মুসলমানের একটি চুল পেকে গেলে আল্লাহ তাআলার তার জন্য একটি নেকি লেখেন। একটি মর্যাদা বাড়িয়ে দেন এবং একটি পাপ মুচে দেন।’ (নাসাঈ, মিশকাত)
হজরত আমর ইবনু শুআইব রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ধারাবাহিকভাবে তার বাবা ও দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন, ‘ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা পাকা চুল-দাঁড়ি উঠাবে না। কেননা কোনো মুসলিম ইসলামের মধ্যে থেকে চুল পাকালে (সুফিয়ানের বর্ণনায় রয়েছে) এটা তার জন্য কেয়ামাতের দিন উজ্জ্বল নূর (আলো) হবে। (ইয়াহইয়ার বর্ণনায় রয়েছে) আল্লাহ তার প্রতিটি পাকা চুলের পরিবর্তে তাকে একটি নেকি দান করবেন এবং একটি গুনাহ মিটিয়ে দেবেন।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, মুননাদে আহমাদ)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, চুল কিংবা দাঁড়ি সাদা হয়ে গেলে তা উঠানো থেকে বিরত থাকা। হাদিসে ঘোষিত ফজিলত থেকে বঞ্চিত না হওয়া। হাদিসের ওপর আমল করার মাধ্যমে দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণে এগিয়ে আসা ঈমানের একান্ত দাবি।-জাগো নিউজ