সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০২:২৬:৪৭

বর-কণের বয়সের পার্থক্য সম্পর্কে ইসলাম যা বলছে

বর-কণের বয়সের পার্থক্য সম্পর্কে ইসলাম যা বলছে

ইসলাম ডেস্ক: বর্তমানে আমাদের দেশের মতো বিশ্বের বহু দেশে প্রতিনিয়ত বাল্য বিয়ে হচ্ছে। বিশেষ করে মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ায় তারা অল্প বয়সেই মা হচ্ছে। ফলে বেড়ে যাচ্ছে শিশু ও মায়ের মৃত্যুহার। এর থেকে রক্ষা পেতে সরকার বিয়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট বয়স নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু বিয়ের বয়স কিংবা বর কণের বয়স সম্পর্কে ইসলাম কি বলছে? যু মানুষ মেয়েদের অধিকারের ব্যাপারে অত্যন্ত অবহেলা করে। যেমন, বাচ্চা মেয়ের বিয়ে বয়স্ক পুরুষের সঙ্গে দেয়া। যা

স্বামী-স্ত্রীর বয়সের সমতা শরিয়তের বিধান : স্বামী-স্ত্রীর বয়সের সমতা রক্ষা করা আবশ্যক। বয়স স্বামী-স্ত্রীর মাঝে আচরণগত (স্বভাব ও দৈহিক) বিষয়। এক প্রকার শরয়ী বিষয়ও বটে। এ ক্ষেত্রে শরিয়তের বিধানও লক্ষ্যণীয়।

কুরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে,

قَاصِرَاتُ الطَّرْفِ أَتْرَابٌ

অর্থাৎ জান্নাতে হুরগণ (জান্নাতের রমণী) সমবয়সী হবে।

অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে,

أَنشَأْنَاهُنَّ إِنشَاء فَجَعَلْنَاهُنَّ أَبْكَارًا عُرُبًا أَتْرَابًا

আমি জান্নাতী নারীকে উত্তমরূপে সৃষ্টি করেছি। অতপর তাদেরকে করেছি চিরকুমারী। কামিনী সমবয়স্কা।

বয়সের ব্যবধানে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। আমি লক্ষ্য করেছি, বাচ্চাদের সঙ্গে বাচ্চাদের যেমন আন্তরিকতা হয় বড়দের সঙ্গে তেমন হয় না। হজরত ফাতেমা রা. এর বিয়ের প্রস্তাব সর্ব প্রথম হজরত আবু বকর রা. দেন। অতপর হজরত ওমর রা. প্রস্তাব দেন। কারণ, এটুকু যোগ্যতা ও সম্মান তাঁদের অর্জিত ছিলো। তাঁদের কন্যাদ্বয় রাসুলুল্লাহসাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সম্মাণিতা স্ত্রী ছিলেন। এখন তারা রাসুলুল্লাহসাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জামাতা সম্মান অর্জন করবেন। রাসুলুল্লাহসাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, انها لصغيرة সে অনেক ছোট। তাঁদের বয়স অনেক বেশি ছিলো। রাসুলুল্লাহসাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বয়সের কথা বিবেচনা করে তাঁদের আবেদন নাকচ করে দেন।

হজরত ফাতেমা রা. এর বিয়ের ঘটনা উল্লেখ করার উদ্দেশ্য হলো, হজরত শায়খাইন রা. (আবু বকর ও ওমর) এর সঙ্গে বিয়ে দিতে রাসুলুল্লাহসাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আপত্তি ছিলো সে ছোট। বাচ্চা। এর থেকে বুঝা গেলো মেয়ের বয়স কম হলে স্বামীর বয়স বেশি হওয়া উচিৎ নয়। বয়সের অসমতায় বিয়ে দেয়াও ঠিক নয়। (দাওয়াতে আবদিয়্যাত আজলুল জাহিলিয়্যাত।)

হজরত ফাতেমা (রা.) -এর বিয়ের সময় বয়স ছিলো সাড়ে পনেরো বছর। হজরত আলী রা. বয়স ছিলো একুশ বছর। এর থেকে জানা যায়, বর-কণের বয়সের সমতা ঠিক রাখা উচিৎ। উত্তম হলো সমবয়সী স্বামী সমবয়সী স্ত্রী থেকে একটু বড় হবে। জ্ঞানীগণ বলেন, মেয়ে যদি একটু ছোট হয় তাহলে সমস্যা নেই। রহস্য হলো নারী অধীনস্থ হয় এবং কর্তৃত্বকারী। তাছাড়াও নারীর শারীরিক শক্তি ও সামর্থ থাকে দুর্বল। ফলে সে আগে বৃদ্ধা হয়ে যায়। যদি দুই-চার বছরের পার্থক্য থাকে তাহলে সমতা আসে। (হুকুকুল জাওযাইন, পৃষ্ঠা-৩৭০।)

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে