সুরা নিসার ২২ থেকে ২৪ নম্বর আয়াতের মধ্যে এ বিষয়ে স্পস্ট বলা আছে।
‘তোমাদের পিতাদের বিবাহিত নারীদের তোমরা বিবাহ করো না। নিশ্চয়ই ইহা লজ্জাজনক ও ঘৃণ্য এবং জঘন্য এক প্রথা।’-(সুরা নিসার ২২)।
‘তোমাদের জন্য বিবাহে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তোমাদের মাতা, কন্যা, ভগ্নী, ফুপু, খালা, ভ্রাতুষ্পুত্রী, বোনের মেয়ে, দুগ্ধ মাতা, দুগ্ধ-বোন, শ্বাশুরী, তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যার সাথে সংগত হয়েছ তার পূর্ব স্বামীর ঔরসে তার গর্ভজাত সৎ কন্যা যারা তোমাদের অভিভাবকত্বে আছে। তবে যদি তাদের সাথে সংগত না হয়ে থাক, তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নাই। এবং তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ তোমাদের ঔরসজাত পুত্রের স্ত্রী এবং একই সময়ে দুই ভগ্নীকে বিবাহ করা। অতীতে যা ঘটেছে তা ব্যতীত। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।’-(সুরা নিসা ২৩)।
‘তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসী ব্যতীত আরও নিষিদ্ধ করা হয়েছে সকল বিবাহিত নারীকে। এভাবেই আল্লাহ্ নিষেধ সমূহের বিধান স্থাপন করেছেন। উল্লেখিত নারীগণ ব্যতীত অন্য নারীকে তোমাদের সম্পত্তি থেকে উপহার দান করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া বৈধ করা হলো - যা ব্যভিচারের জন্য নয় বরং চরিত্রের পবিত্রতার জন্য। তাদের মাধ্যমে যে সুখ ও আনন্দ তোমরা ভোগ করেছ তার দরুণ তাদের মোহর পরিশোধ করা কর্তব্য। মোহর নির্ধারণের পরে, কোন বিষয়ে পরিবর্তনের জন্য পরস্পর রাযী হলে তাতে তোমাদের কোন দোষ নাই। এবং আল্লাহ্ সব জানেন এবং সর্ব বিষয়ে প্রজ্ঞাময়।’-(সুরা নিসা ২৪)।
২১ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/আরএম