দয়া করে আপনি ওনার সাথে কথা বলবেন। মহিলা এইসব কথায় কান দিলেন না। পর দিন আবার মহিলার স্বামী বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর ছেলেটি আসলো মহিলার সাথে দেখা করতে। মহিলা তার সাথে দেখা করতে না চাইলেও সে দেখা করে তার স্বামী কি বলেছেন জানতে চাইলো।
মহিলা বললেন যে তিনি একথা তার স্বামীকে জানায় নি। তখন ছেলেটি বলল আপনি এরকম করলে হবে না। আপনি আপনার স্বামী কে বলবেন তিনি যা চান আমি দেব, কিন্তু আপনাকে আমার জন্য ছাড়তে হবে। এরকম করে প্রতিদিন ছেলেটির কাছে বিরক্ত হয়ে মহিলা তার স্বামীকে পুরো বিষয় জানালেন।
তার স্বামী পুরো বিষয় জানার পর বললেন, তুমি এত অস্থির হইও না। আমি যা বলব তাই করবে। আজ যখন আমি চলে যাব তখন ছেলেটি আসার পর তাকে বলবে আমার স্বামী বলেছেন যে, যদি তুমি বিরতিহীনভাবে ৩ মাস জামাতের সাথে নামাজ আদায় করতে পারো তাহলে তিনি আমাকে তোমার জন্য ছেড়ে দেবেন। তবে এক ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে পড়া থেকে ব্যার্থ হলে আর ৩ মাসের মাঝে আমার সাথে দেখা করলে আমাকে পাবে না। ছেলেটি মহিলার কথায় রাজি হল আর পাঁচ ওয়াক্ত জামাতের সাথে নামাজ আদায় করতে শুরু করলো এবং মহিলার সাথে দেখা বন্ধ করে দিল।
২ মাস পর ছেলেটি একদিন মহিলার স্বামী ঘরে থাকা কালে আসলো আর মহিলাটির কাছে ক্ষমা চাইলো যে, আমি ভুল করে ফেলতে ছিলাম, আপনি আমায় সঠিক পথটা দেখিয়ে দিলেন। পুরো ২ মাস আমি জামাতের সাথে নামাজ আদায় করার ফলে আমি এতই উপকৃত যে যা বলা যাবে না। আপনারা সুখে থাকেন আর দোয়া করবেন যাতে আমি সারা জীবন নামাজ পড়ে কাটাতে পারি।-আমাদের সময়.কম
২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস