হতাশ ব্যক্তিরা রাতে দেরি করে ঘুমাতে যায়। সকালে দেরি করে উঠে। তাদের জীবনের বেশির ভাগ অংশই অন্ধকারাবৃত। হতাশা থেকে মুক্তি পাবার অন্যতম একটি উপায় হচ্ছে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠা। সকালের উজ্জ্বল আলোয় নিজের দিন শুরু করা।
আর এজন্যই কিনা জানি না আল্লাহ সকালের উজ্জ্বল আলোর শপথ করে সূরা আদ দোহা শুরু করেছেন। সূরা আদ দোহা যেমন রসূল (সঃ) হতাশা দূর করে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল ঠিক তেমনি আল্লাহ আমাদেরকেও যেন বলছেন, সকালের উজ্জ্বল আলো আমাদের মনের হতাশা দূর করে দেয়। কাজেই যারা হতাশ তারা সকালের উজ্জ্বল আলোয় বেরিয়ে পড়ুন। দেখুন নতুন উজ্জ্বল একটি দিন, উজ্জ্বল একটি আশা। সেখানে কোন অন্ধকার নেই, হতাশা নেই। (কুরআনের গল্প)
‘আমি তোমাদের বিশ্রামের জন্য নিদ্রা দিয়েছি, তোমাদের জন্য রাত্রিকে করেছি আবরণস্বরূপ আর দিনকে বানিয়েছি তোমাদের কাজের জন্য। ’ (সুরা : নাবা, আয়াত : ৯-১১) রাসুলুল্লাহ (সা.) এশার নামাজ এক-তৃতীয়াংশ রাত পরিমাণ দেরি করে পড়া পছন্দ করতেন, আর এশার আগে ঘুমানো এবং এশার পর না ঘুমিয়ে গল্পগুজব করা অপছন্দ করতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৯৯)
‘সকালবেলায় রিজিকের অন্বেষণ করো! কেননা সকালবেলা বরকতময় ও সফলতা অর্জনের জন্য উপযুক্ত সময়। ’ (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ, হাদিস : ৬২২০) ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ (সা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসুল (সা.) আমার ঘরে এসে আমাকে ভোরবেলায় ঘুমন্ত অবস্থায় দেখলেন, তখন আমাকে পা দিয়ে নাড়া দিলেন এবং বললেন, মামণি! ওঠো! তোমার রবের পক্ষ থেকে রিজিক গ্রহণ করো! অলসদের দলভুক্ত হয়ো না। কেননা আল্লাহ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মানুষের মধ্যে রিজিক বণ্টন করে থাকেন। (আত-তারগিব ওয়াত তারহিব, হাদিস : ২৬১৬)
প্রিয় নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ ওই বান্দার ওপর রহম করুন, যে রাত্রিকালে উঠে নামাজ আদায় করে এবং তার স্ত্রীকেও জাগায় এবং সেও নামাজ আদায় করে। যদি সে (স্ত্রী) নিদ্রার চাপে উঠতে না চায়, তবে সে (ভালোবেসে) তার মুখে পানি ছিটিয়ে দেয়। আল্লাহ ওই নারীর ওপরও রহম করুন, যে রাত্রিতে উঠে নামাজ আদায় করে এবং তার স্বামীকে ঘুম থেকে জাগায় এবং সেও নামাজ আদায় করে। যদি সে ঘুম থেকে উঠতে না চায়, তবে সে (ভালোবেসে) তার মুখে পানি ছিটিয়ে জাগিয়ে তোলে। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১৪৫০)