পবিত্র কাবা শরিফের প্রবীণ ও প্রধান মুয়াজ্জিন হলেন শায়খ আলি আহমদ মোল্লা। দীর্ঘদিন পর গতকাল রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) তাঁর সুরলিত কণ্ঠে মাগরিবের নামাজের আজান শোনা যায়। হারাম শরিফ প্রাঙ্গণে পরিচিত কণ্ঠে আজান শুনতে পেয়ে পুরোনো দিনের স্মৃতির কথা মনে পড়ে অনেকের। মসজিদে হারামের অফিসিয়াল টুইটার হারাামাইন শরিফাইন থেকে তাঁর আজানের ভিডিও শেয়ার দেওয়া হয়।
প্রায় পাঁচ দশক ধরে মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামে আজানের দায়িত্ব পালন করছেন শায়খ আলি আহমদ মোল্লা। মসজিদুল হারামের সবচেয়ের প্রসিদ্ধ ও প্রবীণ মুয়াজ্জিনদের অন্যতম তিনি। অর্ধ শতাব্দি ধরে আজান দেওয়ায় হাজিদের কাছে তাঁর আজানের সুমধুর সুর খুবই পরিচিত।
চাচাতো ভাই শায়খ আবদুল মালিক মোল্লার মৃত্যুর পর তিনি মসজিদুল হারামের প্রধান মুয়াজ্জিন নিযুক্ত হন। কাবা প্রাঙ্গণে সুললিত কণ্ঠে দীর্ঘকাল আজান দেওয়ায় অনেকে তাঁকে ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন বিলাল (রা.)-এর নামে ‘বিলাল আল হারাম’ হারাম শরিফের বিলাল উপাধী প্রদান করেন।
শায়খ আলি আহমদ মোল্লা ১৯৪৫ সালে মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মসজিদুল হারামে আজান দেওয়া এ পরিবারের অন্যতম ঐতিহ্য। তাঁর দাদা আলি আবদুর রহমান মোল্লা, বাবা, চাচা আবদুর রহমান মোল্লা, চাচাতো ভাই আবদুল লতিফ, আবদুল্লাহ ও শায়খ আবদুল মালিক, নানা আবদুল্লাহ খাওজ, তাঁর মামা আবদুল হাফিজ খাওজ, মামাতো ভাই তাওফিক বাই মসজিদুল হারামে মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শায়খ আলি মোল্লা মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকে মসজিদুল হারামের বাব আল জিয়াদায় আজানের অনুশীলন শুরু করেন। এরপর তিনি বাব আল মাহাকামার মুয়াজ্জিন হিসেবে নিযুক্ত হোন। পরবর্তীতে তিনি পুরো মসজিদুল হারামে মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মূলত তিনি মসজিদুল হারামে লাউডস্পিকার ব্যবহার শুরুর আগ থেকে আজান দেওয়া শুরু করেন। তখন মসজিদুল হারামের সাতটি মিনার থেকে মুয়াজ্জিনরা আজান দেওয়া শুরু হতো। জমজম কূপের পাশ্ববর্তী ‘আল মাকাম আল শাফেয়ি’ থেকে প্রধান মুয়াজ্জিন আজান শুরু করেন। অন্যরা তা পুনরাবৃত্তি করতেন। উসামানি শাসনামলে আজানের এ ঐতিহ্য শুরু হয়। বর্তমান তুরস্কে এখনও এ নিয়ম প্রচলিত আছে। (ভিডিও) সূত্র : আরব নিউজ