কোরিয়ানদের সঙ্গে ইসলামের সংযোগ প্রায় ১২শ’ বছর আগে হলেও গত শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত কোরিয়ান ভাষায় কোরআনের কোনো অনুবাদ ছিল না। ড. হামিদ চৈ ইয়ং কিল কোরিয়ান ভাষায় কোরআনের অনুবাদ করেন। কাজটি করতে তার সময় লেগেছিল সাত বছর। তিনি ‘মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগ’-এর সদস্য এবং ‘কোরিয়ান মুসলিম ফেডারেশন’-এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পেশাগত জীবনে ড. হামিদ চৈ ইয়ং কিল একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। কর্ম জীবনে মিয়নজি বিশ্ববিদ্যালয়সহ তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। ড. হামিদ চৈ-এর বর্তমান বয়স ৭০ বছর। তবে তার শৈশব ও পারিবারিক ইতিহাস সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। ২০০৮ সালে তিনি কিং আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ফর ট্রান্সলেশন’ লাভ করলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তার নাম উচ্চারিত হয়।
গণমাধ্যমে প্রচারিত তথ্যানুসারে ড. হামিদ চৈ ১৯৭৫ সালে হানকুক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও অর্জন করেন। তিনি ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব মদিনা থেকে ‘ফান্টামেন্টালস অব রিলিজিয়ন অ্যান্ড দাওয়াহ’ বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন (১৯৭৬-১৯৮০ খ্রি.)। এ সময় আরববিশ্বের খ্যাতিমান আলেম শায়খ আবদুল্লাহ বিন বাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ১৯৮৬ সালে সুদানের খার্তুমে অবস্থিত উমদুর্মান ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে ‘ইসলামিক কল ইন কোরিয়া’ শিরোনামে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।
ড. হামিদ চৈ ইয়াং কিল আল্লামা শফিউর রহমান মুবারকপুরি রচিত মহানবী (সা.)-এর জীবনী গ্রন্থ ‘আর-রাহিকুল মাখতুম’-এর কোরিয়ান অনুবাদের জন্য ২০০৮ সালে তিনি কিং আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ফর ট্রান্সলেশন’ লাভ করেন। তবে জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো কোরিয়ান ভাষায় পবিত্র কোরআনের অনুবাদ সম্পন্ন করা। এটিই কোরিয়ান ভাষায় কোরআনের প্রথম অনুবাদ। এছাড়া তিনি ৩০টির বেশি ইসলামী বই কোরিয়ান ভাষায় ভাষান্তর করেছেন।
তথ্যসূত্র : আরব নিউজ, আল-ইকতিসাদিয়্যাহ, কোরিয়া-আরব ডটঅর্গ ও উইকিপিডিয়া