ইসলামের দ্বিতীয় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হলো নামাজ। ঈমানের পরেই নামাজের স্থান। নামাজ সকল ইবাদতের সেরা হবার অনেক কারণ রয়েছে তার কয়েকটি নিম্নে পেশ করা হল:
ইসলামের অন্যান্য ইবাদত যেমন রোজা, হজ যাকাত ইত্যাদি ওহীর মাধ্যমে ফরজ করা হয়েছে কিন্তু নামাজ স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা রাসূল সা. কে নিজের কাছে ডেকে এনে সোপর্দ করেছেন। এজন্যই নামাজের গুরুত্ব অন্য সকল ইবাদতের চাইতে বেশি।
নামাযে মনোযোগ স্থাপন প্রসঙ্গে হযরত হাসান বসরী (রহ) বলেন, নামাজি ব্যক্তির জন্য আল্লাহ তায়ালা কতগুলো নির্দিষ্ট সম্মান নির্ধারিত করে রেখেছেন। তার একটি হল: একজন ফেরেশতা নামাজীকে ডেকে বলে, হে বান্দা! তুমি যদি জানতে তোমার সামনে কে আছেন এবং নামাজের মধ্যে তুমি কার সাথে কথা বলছো, তবে খোদার কসম, কেয়ামত পর্যন্ত সালাম না ফিরিয়ে তুমি নামাজে মশগুল থাকতে।
যখন কোন বান্দা নামাজে দাড়াই তখন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার সামনে এসে উপস্থিত হয় এমতাবস্থায় যদি নামাযী ব্যক্তি অন্য মনস্ক হয়ে অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে থাকে তখন আল্লাহ তা’আলা বলেন হে আমার বান্দা আমি তো তোমার সামনেই আছি আমার চাইতে বড় আর কি আছে যে, তুমি সেদিকে মনোযোগ দিচ্ছ?
নামাজ শ্রেষ্ঠ ইবাদত হওয়া প্রসঙ্গে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা বলেন, আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করার প্রধান উপায় নামাজ, নামাজ ব্যাতিত কোন ইবাদত আল্লাহর নিকট কবুল হয় না, সালাতের কারণে রিযিকে বরকত আসে, নামাজ কেয়ামত পর্যন্ত সঙ্গে থেকে নামাজির প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করবে, নামাজ বেহেশতের চাবি এটা বেহেস্তের দরজা খুলে নামাজীকে প্রবেশ করাবে।
নামাজ না পড়ার শাস্তি:
নামাজি ব্যক্তির জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে যেমন পুরস্কার রয়েছে ঠিক তেমনিভাবে বেনামাজীর জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। ইহজগতে বেনামাজিকে যেসকল শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে:
তার জীবিকা নির্বাহে কোন বরকত থাকবে না। তার চেহারায় নেক লোকের কোন চিহ্ন থাকে না।
বে নামাজীর দোয়া এবং ইবাদত আল্লাহর নিকট কবুল হয় না এমনকি তার জন্য কেউ দোয়া করলেও মহান আল্লাহর নিকট তা গ্রহণ হয় না।
এছাড়াও বেনামাজির মৃত্যু হবে অত্যন্ত অপমানের সাথে, কবরে তাকে ভোগ করতে হবে কঠোর শাস্তি। কেয়ামতের দিন বেনামাজিকে বহু অপমান করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। নামাজ বিনষ্টকারীদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, যারা নামাজ বিনষ্ট করেছে এবং কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করেছে, সত্ত্বরই তারা কঠোর আজাবের সম্মুখীন হবে।