রবিবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৬, ০৪:১৩:০১

বিশ্বকে চমকে দিল দুই শিশু কোরআনে হাফেজ

বিশ্বকে চমকে দিল দুই শিশু কোরআনে হাফেজ

ইসলাম ডেস্ক : যে দুইজন শিশুর মাথায় পাগড়ী দেখা যাচ্ছে তারা দুইজনেই কোরআনে হাফেজ হয়েছেন। বিস্ময়কর ঘটনা হলো- এই দুই শিশুর স্মৃতিশক্তি এতই প্রখর যে এক বছরেই তারা পূর্ণ কোরআনে হাফেজ হয়েছেন। তারা টাঙ্গাইলের সরিষাজানী ইসলামীয়া হাফিজিয়া ও এতিমখানা মাদ্রাসায় লেখা পড়া করেছেন। অন্য দশটি শিশুর মতো তারা সোনার চামচ নিয়ে জন্ম গ্রহণ করেনি। হত দরিদ্র পরিবারে বেড়ে উঠেছে তারা। লেখাপড়া করে হাফিজিয়া ও এতিমখানা মাদ্রাসায়। কিন্তু তাদের স্মৃতিশক্তির প্রখরতা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। তাদের বিরল স্মৃতিশক্তি দেখে মাদ্রাসার শিক্ষকরা বিস্মিত।  

সরিষাজানী ইসলামীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার সহ শিক্ষক হাফেজ মোঃ আবু হোরায়রা জানান, উপজেলার সরিষাজানী গ্রামের মোঃ আনোয়ার হোসেনের ছেলে হাফেজ মোঃ ওসমান গণি (১০), সিংজোড়া গ্রামের দেওয়ান আসলামের ছেলে মোঃ মামুনুল হক (৯)। মাত্র ১বৎসর সময়ের মধ্যে পূর্ণ কোরআনের হাফেজ হলো।

সম্প্রতি মাদ্রাসার বার্ষিক তাফসীর মাহফিলে এই দুই হাফেজের মাথায় পাগড়ী পড়িয়ে দেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মোফাচ্ছিরে কোরআন আল্লামা হযরত মাওলানা মোঃ ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ প্রখ্যাত আলেম।

তিনি এই দুই হাফেজের মাথায় পাগড়ী পড়িয়ে দিয়ে আল্লাহর দরবারে তাদের জন্য বিশেষ মোনাজাত করেন। এ সময় শত শত ধর্মপ্রাণ মুসল্লি আমিন আমিন ধ্বনিতে মাহফিলের ময়দান প্রকম্পিত করে তোলেন।

তিনি বলেন, পূর্ণ কোরআন হেফজ করার কারণে আল্লাহতায়ালা কোরআনের একজন হাফেজকে এমন মর্যাদা দিয়েছেন কাল কিয়ামতের দিন একজন হাফেজের পিতার মাথায় আল্লাহতায়ালা নুরের তাঁজ পরিধান করাবেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা আজ কোরআনের বাইরে জীবন-যাপন করার কারণে গোটা বিশ্বের মুসলমানেরা নির্যাতিত, নিপীড়িত, লাঞ্চিত ও অপমানিত হচ্ছি। তাই সকলকে কোরআন ও হাদিসের আলোকে ঐকবদ্ধ হয়ে সকল প্রকৃত ইসলামের খাদেম হতে বলেন।

তিনি বলেন, এক সময় মুসলমানদের নারায়ে তাকবীরের হুংকারে বিধর্মীদের গর্ভপাত হয়ে যেত। আর আমরা সেই মুসলমান আজ বিধর্মীদের কাছে লাঞ্চিত ও অপমানীত হচ্ছি। বর্তমান কিছু মসলমান নামধারী ইয়াহুদীদের দালালদের কারণে দেশের আলেম সমাজকে এক শ্রেণীর লোকেরা জঙ্গি অপবাদ দিয়ে নানা রকম নির্যাতন করছে। আলেমরা কোন দিন জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী নয়।

তিনি বলেন, আজ নিরাপদে কোরআনের তাফসীর করতে পারে না। যে যতই বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করুক না কেন, কোন দিন কোরআনের পাগলদের দাবিয়ে রাখা যাবে না। আবু জেহেল আগেও ছিল, বর্তমানেও আবু জেহেলে উত্তরসরি আছে, ভবিষতেও থাকবে। তাতেও কোরআন পাগল, নবী প্রেমিক আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের আল্লাহর কোরআনের পথ থেকে দুরে সড়াতে পারবে না ইনশাল্লাহ।

তিনি আরো বলেন, কোন দলবল বুঝি না। দেশের সকল আলেম ও মুসলমানদের কোরআনের ছাঁয়াতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মুসলমানদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। যত বিপদ আসুক না কেন।

সরিষাজানী ইসলামাবাদ দাঃ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হযরত মাওলানা মোঃ গোলাম রব্বানীর এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৭ জানুয়ারি ২০১৬/এমটি নিউজ২৪ডটকম/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে