মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৬, ১১:৪৬:৪০

অপচয়কারীর বিষয়ে যা বলা হয়েছে আল কুরআনে

অপচয়কারীর বিষয়ে যা বলা হয়েছে আল কুরআনে

ইসলাম ডেস্ক : পৃথিবীতে মানুষ তার মেধা ও মনন দিয়ে অনেক কিছু আবিস্কার করেছে। অনেক কিছু তৈর করেছে। যা দেখে মানব জাতি বিস্মিত হয়েছে। কিন্তু চারটি জিনিস তার আয়ত্বের বাইরে রয়েছে। এক্ষেত্রে দুনিয়ার কারো হাত নেই। তা হল- জীবন, মৃত্যু, রিজিক ও সম্পদ।

চারটি জিনিসের মধ্যে আজ আমরা রিজিক সম্পর্কিত একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। অপচয়কারীকে কেউ পছন্দ করে না। না আল্লাহ, না বান্দা। কারণ রিজিক আল্লাহ তা'য়ালার একটি বিশেষ নেয়ামত। এ নেয়ামতকে সম্মান এবং সদব্যবহার করা প্রতিটি বান্দার ওপর বর্তায়।

মহান আল্লাহ তা'য়ালা বান্দার রিজিক আগেই নির্ধারণ করে রেখেছেন। এতে মানুষের কোন হাত নেই। অঢেল সম্পদ দিয়ে বলে দেয়া হয়েছে, তা যথাস্থানে ব্যয় করতে।

ধনীর সম্পদে গরীবের হক আছে। আত্মীয় স্বজনের হক নষ্ট না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই সাথে সম্পদ থেকে যথসম্ভব দান সদকা দিতে উৎসাহিত করা হয়েছে।

একই সঙ্গে সম্পদের অপব্যয় না করার জন্য মহাগ্রন্থ আল কুরআনে বারংবার সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। তারপরেও অপচয় করলে কঠিন শাস্তির কথা বলা হয়েছে। কারণ অপব্যায়কারীদের আল্লাহ তায়ালা অপছন্দ করেন। এ বিষয়ে কুরআনের কয়েকটি আয়াত এখানে উল্লেখ করা হলে-

১. নিশ্চয় অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই। (সুরা বনী ঈসরাইল, আয়াত ২৬)

২. তিনিই হলেন যিনি বাগানগুলো উৎপন্ন করেন মাচা দেওয়া এবং মাচা ছাড়া এবং খেজুর গাছ ও বিভিন্ন রকমের ফসল, জলপাই ও ডালিম একই রকম। খাও এর ফলগুলো থেকে যখন তাতে ফল ধরে, এবং এর প্রাপ্য অংশ দাও ফসল কাটার দিনে, এবং অপচয় করো না, নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না। (সূরা আন’আম : ১৪১)

৩. তারা শুধু এ কথাই বলেছিল, ‘আমাদের প্রভু, ক্ষমা করুণ আমাদের গুনাহগুলো এবং আমাদের বিষয়গুলোতে আমাদের বাড়াবাড়িগুলো, এবং দৃঢ় করে দিন আমাদের পাগুলোকে, এবং আমাদের সাহায্য করুন বিশ্বাসহীন দলের বিরুদ্ধে।’ (সূরা আলে ইমরান : ১৪৭ )

৪. ইয়াতিমদের পরীক্ষা কর যখন তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছায়। তখন যদি তাদের মাঝে পরিপক্বতা উপলব্ধি কর, তাদের সম্পদ তাদের দিয়ে দাও এবং তা খেয়ো না বিলাসিতা করে ও দ্রুততার সাথে পাছে তারা (বয়সে) বড় হয়ে যায়। আর যে স্বচ্ছল, সে সংযমী হোক, এবং যে দরিদ্র, সে তা থেকে খেতে পারে সম্মানজনকভাবে এবং যখন তোমরা তাদের সম্পদ বুঝিয়ে দাও, তাদের ওপর সাক্ষী রাখ, এবং আল্লাহ হিসাবরক্ষক হিসাবে যথেষ্ট। (সূরা নিসা : ৬)

৫. এজন্যই আমরা ইসরাঈলের সন্তানদের জন্য সিদ্ধান্ত দিয়েছিলাম, কেউ যদি একটি সত্তাকে হত্যা করে, [মানুষ হত্যার অপরাধী ছাড়া] অথবা পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী [ছাড়া], তা হলো এমন যেন সে সমস্ত মানবজাতিকে হত্যা করলো। আর যে-ই একটি জীবন বাঁচায়- তা হলো এমন যেন সে সমস্ত মানবজাতিকে রক্ষা করলো। নিঃসন্দেহে আমাদের রাসূলরা তাদের কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শনগুলো এনেছিল, এরপরও তাদের মধ্যে অনেকেই পৃথিবীতে বাড়াবাড়ি করে। (সূরা মা-ইদাহ : ৩২)
২৬ জানুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে