সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৩, ১০:০৬:১০

শবে কদর নামাজের নিয়ত ও নিয়ম

শবে কদর নামাজের নিয়ত ও নিয়ম

ইসলাম ডেস্ক: আজ লাইলাতুল কদরের রাত। যাকে শবে কদর বলা হয়। শবে কদর ফারসি শব্দ। যার অর্থ হলো মহিমান্বিত রাত। মহান আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়।

শবে কদরের রজনিতে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সারা রাত নফল নামাজ, কোরআন ও হাদিসের আলোকে জিকির, কবর জিয়ারত এবং নিজের কৃত গুনাহর জন্য মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকেন।

নামাজের নিয়ত আরবিতে: ‘নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়া'লা রাকআ'তাই ছালাতি লাইলাতিল কদর-নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কা’বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।’

অর্থ: আমি কাবামুখী হয়ে আল্লাহর (সন্তুষ্টির) জন্য শবে কদরের দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম, আল্লাহু আকবর। শবে কদরের নামাজ পড়ার নিয়ম: লাইলাতুল কদরে বিশেষ কোনো নামাজের নিয়ম বা পদ্ধতি নেই। লাইলাতুল কদরের রাতে দুই রাকাত করে নফল নামাজ যত সুন্দর ও মনোযোগসহকারে পড়া যায় ততই ভালো। দুই রাকাত, দুই রাকাত করে আপনি যত খুশি পড়তে পারবেন। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করবেন, দোয়া পড়বেন, ইস্তেগফার পড়বেন ও তওবা করবেন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।

এ ছাড়া বিশেষ কিছু সুরা পড়তে হবে, এটা লোকমুখে প্রচলিত আছে, তবে এর কোনো ভিত্তি নেই। তবে চাইলে বেশি বেশি সুরা কদর ও সুরা ইখলাস পড়তে পারেন।

নামাজ শেষে নিচের দোয়াটি কমপক্ষে ১০০ বার পড়া উত্তম: ‘সুব্‌হানাল্লাহি ওয়াল হাম্‌দু লিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, লা হা’ওলা কুয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহিল্‌ আলীয়্যিল আযীম।’

এই রাতে যে দোয়া বেশি পড়বেন: হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ, শবে কদরের রাতে আমার কোন দোয়াটি পড়া উচিত?' তিনি তাকে পড়ার জন্য নির্দেশ দিলেন: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি।’ অর্থাৎ,  ‘হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল এবং ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। তাই আমাকে ক্ষমা করুন।’ (সুনানে ইবনে মাজা)

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে