ইসলাম ডেস্ক : কোরবানি ওয়াজিব ইবাদত। কোনও ব্যক্তির কাছে সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্যের মূল্যের সমপরিমাণ টাকা থাকলে সে ব্যক্তির ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব।
কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার জন্য ওই ব্যক্তিকে অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্ক, মুকিম হতে হবে। এই টাকার ওপর এক বছর অতিবাহিত হওয়া আবশ্যক নয়। ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কেউ এই টাকার মালিক হলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব।
কোনও ব্যক্তি অনেক সম্পদের মালিক হলেও একটি পশু কোরবানি করলেই ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে। তবে কেউ চাইলে অধিক সওয়াব অর্জনের জন্য একাধিক কোরবানি করতে পারবে। তবে এটা আবশ্যক বা জরুরি কিছু নয়।
কোরবানি ওয়াজিব নয়—এমন দরিদ্র ব্যক্তি কোরবানি করলে তার কোরবানি শুদ্ধ হবে এবং এতে অনেক সওয়াব লাভ হবে। দরিদ্র ব্যক্তি কোরবানির উদ্দেশ্যে পশু ক্রয় করলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয়ে যায়। (কিফায়াতুল মুফতি: ৮/১৭৮)
তবে কোরবানি ওয়াজিব নয়—এমন দরিদ্র ব্যক্তি কোরবানির উদ্দেশ্যে পশু ক্রয় করার পর তা যদি হারিয়ে ফেলে এবং এরপর আরও একটি ক্রয় করে এবং পরবর্তীতে হারানো পশুটি ফিরে আসে অথবা তা পাওয়া যায়, তাহলে তার ওপর দুটি পশুই কোরবানি করা ওয়াজিব।
আর এক্ষেত্রে ধনী হলে একটি কোরবানি করলেই হবে। তবে দুটি করা উত্তম। (সুনানে বায়হাকি: ৫/২৪৪, ইলাউস সুনান: ১৭/২৮০, বাদায়েউস সানায়ে: ৪/১৯৯, কাজিখান: ৩/৩৪৭)
ধনী-গরিব সবাইকেই আরেকটি ক্ষেত্রে দুই পশু জবাই করতে হয়, সেটি হচ্ছে—গর্ভবতী পশু জবাইয়ের পর যদি বাচ্চা জীবিত পাওয়া যায় তাহলে সেটাও জবাই করতে হবে। তবে প্রসবের সময় আসন্ন অবস্থায় কোনো পশু কোরবানি করা মাকরুহ। (কাজিখান: ৩/৩৫০)
আর কোরবানির পশু বাচ্চা দিলে ওই বাচ্চা জবাই না করে জীবিত দসদকা করে দেওয়া উত্তম। যদি সদকা না করা হয়, তাহলে কোরবানির পশুর সঙ্গে বাচ্চাকেও জবাই করবে এবং গোশত সদকা করে দিতে হবে। (কাজিখান: ৩/৩৪৯, আলমগিরি: ৫/৩০১, রদ্দুল মুখতার: ৬/৩২৩)