ইসলাম ডেস্ক: ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা আল্লাহ তা’য়ালার সন্তুষ্টি অর্জন তথা জান্নাত লাভের জন্যই কিন্ত সকল আমল করে থাকেন। তবে অন্য নবী রাসূলদের তুলনায় আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)এর উম্মতদের মধ্যে জান্নাতবাসী সবচেয়ে বেশি হবে। জান্নাত সম্পর্কে আমাদের প্রিয় নবী (সা.) এর কিছু হাদিস নিচে তুলে ধরা হলো-
১) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- এর উম্মতের মধ্য মধ্য থেকে ৭০ হাজার ব্যক্তি বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে।- [আহমদ, তিরমিজী, ইবনে মাজাহ- আবু ওমামা (রা.)]
২) যারা রাতে আরামের বিছানা থেকে নিজেদের পার্শ্বদেশকে দূরে রেখেছিল, এমন অল্প সংখ্যক লোক বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। অবশিষ্ট সকল মানুষ হতে হিসেব নেয়ার নির্দেশ করা হবে। [বায়হাকি- আসমা (রা.)]
৩) জান্নাতে জান্নাতবাসীরা প্রতি জুমাবারে বাজারে মিলিত হবে এবং জান্নাতে জান্নাতবাসীদের রূপ-সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। [মুসলিম- আনাস রা.)]
৪) জান্নাতের স্তর হবে ১০০টি এবং জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তর জান্নাতুল ফেরদাউস। যখন তোমরা আল্লাহর কাছে জান্নাত চাইবে তখন জান্নাতুল ফেরদাউস চাইবে। [তিরমিজী ওবাই ইবনে সামেত (রা.)]
৫) জান্নাতবাসীদের ১২০ কাতার হবে। তার মধ্যে ৮০ কাতার হবে এ উম্মতের। অবশিষ্ট ৪০ কাতার হবে অন্যান্য উম্মতের। [তিরমিজী- বুরাইদা (রা.)]
৬) জান্নাত সমস্ত পৃথিবী থেকে উত্তম। (মুয়াত্তা- আবু হুরাইরা (রা.)
৭) জান্নাতবাসীনী কোন নারী (হুর) যদি পৃথিবীর দিকে উঁকি দেয়, তবে গোটা জগত আলোকিত হয়ে যাবে এবং আসমান জমীনের মধ্যবর্তী স্থান সুগন্ধিতে মোহিত হয়ে যাবে। তাদের মাথার উরনাও গোটা দুনিয়া ও তার সম্পদরাশি থেকে উত্তম। [বুখারী- আনাস (রা.)]
৮) জান্নাতে একটি চাবুক রাখার পরিমাণ জায়গা গোটা দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে তা থেকে উত্তম। [মুয়াত্তা- আবু হুরাইরা (রা.)]
৯) জান্নাতের একটি গাছের নিচের ছায়ায় কোন সাওয়ারী যদি ১০০ বছরও সাওয়ার করে তবুও তার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে না। [বুখারী, মুসলিম আবু হুরায়রা (রা.)]
৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/জেএম/আরএম