শুক্রবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০৩:৪৮:২৭

দুটি কারণে আপনাকে অবশ্যই বেশি বেশি দরূদ পাঠ করা উচিত

দুটি কারণে আপনাকে অবশ্যই বেশি বেশি দরূদ পাঠ করা উচিত

ইসলাম ডেস্ক: হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি হাশরের ময়দানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে থাকতে চান, সে যেন বেশি বেশি দরূদ পাঠ করেন।

যে ব্যক্তি বেশি বেশি দরূদ পাঠ করবে, তাঁর জন্য  রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুপারিশ আবশ্যক হয়ে যায়। বেশি বেশি দরূদ পাঠের বরকতে স্বপ্নযোগে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জিয়ারত নসিব হয়ে যায়। দরূদ পাঠের বরকতের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলােইহি ওয়া সাল্লামের সাক্ষাৎ লাভ করতে পারলে ঐ ব্যক্তির জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যায়। দরূপ পাঠের ফলে বান্দার সব বৈধ চাওয়া পাওয়া আল্লাহ কবুল করেন।

হজরত ওমর বিন খাত্তাব (রা.) বলেন, নিশ্চয় বান্দার দোয়া-মোনাজাত আসমান ও জমিনের মাঝখানে ঝুলানো থাকে, তার কোনো কিছু আল্লাহপাকের নিকট পৌঁছে না যতক্ষণ না বান্দা তোমার নবীর প্রতি দরুদ পাঠ করবে। (তিরমিজী শরিফ)। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত হজরত রসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, দরুদ শরিফের আমল কাল কিয়ামতের পুলসিরাতের অন্ধকারে আলোর কাজ করবে। যে ব্যক্তি জুমার দিন আমার প্রতি ৮০ বার দরুদ পাঠ করবে আল্লাহপাক তার ৮০ বছরের ছগিরা গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।

হযরত আবু উমামা (রা.) হতে বর্ণিত, হযরত রসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মানুষের যে দল কোনো মজলিসের কাজ শেষ করে আল্লাহপাকের জিকর ও দরূদ পাঠ না করে সেখানে থেকে উঠে পড়বে তাদের ওই মজলিস তাদের জন্য দুঃখ-কষ্টের কারণ হবে। হযরত আলী (রা.) হতে বর্ণিত, হযরত রসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কৃপণ ওই ব্যক্তি যার নিকট আমার নাম উচ্চারিত হলো, কিন্তু সে আমার নাম শুনে আমার প্রতি দরূদ পাঠ করল না। (তিরমিজি শরিফ)

দরূদ পাঠের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতেই আল্লাহ তাআলা কুরআনে আয়াত নাজিল করেছেন: ‘নিশ্চয়ই আমি (আল্লাহ্) স্বয়ং এবং আমার ফেরেস্তাগণ নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর দরুদ পাঠ পূর্বক সালাম প্রেরণ করিয়া থাকি; হে মুমিনগণ তোমরাও তাঁহার উপর দরুদ পাঠ কর এবং সালাম প্রেরণ কর।` (সূরা আহযাব: আয়াত ৫৬)।
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/জেএম/আরএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে