মুহাম্মদ আবদুল্লাহ খান : মাংস ও রুটি : নবি (সা.) রুটি দিয়ে উট, বকরি ও মুরগির গোশত (বিশেষত রানের অংশ) খেতে অনেক পছন্দ করতেন। আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, ‘রাসূল (সা.)-এর সামনে বকরির সামনের ঊরু পরিবেশন করা হলো। তিনি তা খুবই পছন্দ করতেন। অতঃপর তিনি তা থেকে দাঁত দিয়ে কেটে খেলেন’ (শামায়েলে তিরমিযি : ১২৫)।
লাউ : নবি (সা.) লাউ খেতে অনেক পছন্দ করতেন। তিনি বলতেন, ‘লাউ হলো জান্নাতি খাবার’। আবার কখনো লাউকে উত্তম খাবারও বলেছেন। হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন, ‘নবি (সা.) লাউ খুবই পছন্দ করতেন। একবার তার সম্মুখে খানা পরিবেশন করা হলো অথবা তিনি কোনো দাওয়াতে গিয়েছিলেন (রাবির সন্দেহ)। আমার যেহেতু জানা ছিল, তিনি লাউ খুব পছন্দ করেন, তাই (তরকারির মধ্য থেকে) বেছে বেছে তার সামনে লাউ পেশ করলাম’ (শামায়েলে তিরমিযি : ১১৮)।
খেজুর : খেজুরকে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী খাদ্য বললেও হয়তো ভুল হবে না। সে যুগে আরব ছিল সবচেয়ে বেশি খেজুর উৎপাদনশীল দেশ। আর রাসূলের প্রিয় খাদ্য তালিকায় খেজুর ছিল অন্যতম। হজরত আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, ‘নবি (সা.) কাঁচা খেজুরের সঙ্গে শসা খেতেন’ (শামায়েলে তিরমিযি : ১৪৬), হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘নবি (সা.) তাজা খেজুরের সঙ্গে তরমুজ খেতেন’ (শামায়েলে তিরমিযি : ১৪৭)।
মিষ্টি ও মধু : নবি (সা.) মিষ্টিদ্রব্য ও মধু অনেক বেশি পছন্দ করতেন। হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূল (সা.) ‘মিষ্টিদ্রব্য ও মধু বেশি পছন্দ করতেন’ (শামায়েলে তিরমিযি : ২২১)।
সিরকা : সিরকা একটি অন্যতম জনপ্রিয় খাদ্য। কারণ সিরকার মধ্যে বেশকিছু উপকারিতাও রয়েছে; যেমন-কফ ও পিত্ত দূর করে এবং হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। রাসূল (সা.)ও সিরকা পছন্দ করতেন এবং তরকারিগুলোর মধ্যে উত্তম বলেছেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সিরকা কতই না চমৎকার তরকারি!’ (শামায়েলে তিরমিযি : ১১৩)।
জয়তুন : জয়তুন একটি বরকতময় ফল। আল্লাহতায়ালা কুরআনে কারিমে সূরা তীনের মধ্যে জয়তুন ফল নিয়ে কসমও করেছেন। রাসূল (সা.)ও জয়তুন তেল খাওয়া ও মালিশের জন্য উৎসাহ প্রদান করেছেন। হজরত আবু আসীদ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা জয়তুন তেল খাও এবং তা মালিশ কর। কারণ, তা বরকতময় বৃক্ষ থেকে উৎপন্ন’ (শামায়েলে তিরমিযি : ১১৭)।