ইসলাম ডেস্ক : রহমত, নাজাত ও মাগফিরাতের মাস রমজান। এ মাসের বিশেষ আমল রোজা। রোজা মানুষকে আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে সম্পর্ক করিয়ে দেয়। রোজার ফজিলত ও উপকারিতা সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
রোজার ফজিলত সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বর্ণিত পাঁচটি হাদিস তুলে ধরা হলো এখান—
১. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ঈমান অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি ও সওয়াবের নিয়তে রমজানের রোজা রাখবে, তার অতীতের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। (বুখারি শরিফ, হাদিস, ১৮০২)
২. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমা থেকে অপর জুমা, এক রমজান থেকে অপর রমজান (অর্থাৎ যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে, জুমার নামাজ আদায় করবে, রমজানের রোজা রাখবে) মধ্যবর্তী সময়ের (গুনাহের) জন্য কাফ্ফারা হয়ে যাবে। শর্ত হলো, (উক্ত সময়গুলোতে) কবিরা গুনাহসমূহ থেকে বিরত থাকতে হবে।’ (মুসলিম শরিফ, হাদিস, ২৩৩)
৩. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,রোজা হলো ঢাল। (অর্থাৎ জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার ঢাল) সুতরাং কেউ যেনো নির্লজ্জ কাজ ও মূর্খপনা কথা না বলে। যদি কেউ তার সাথে ঝগড়া করতে আসে বা তাকে গালি দেয়, তখন যেনো সে বলে দেয় আমি রোজাদার। আমার সত্তার কসম! রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহ তাআলার কাছে মেশকের সুঘ্রাণ থেকেও বেশি উৎকৃষ্ট। কারণ, সে আমার জন্য তার খাবার, পানীয় ও শারীরিক চাহিদা ছেড়ে দিয়েছে। (সুতরাং) রোজা আমার জন্য আর আমিই সেটির প্রতিদান দেবো। (বুখারি শরিফ, হাদিস, ১৭৯৫)
৪. হজরত সাহল রাজিয়াল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, জান্নাতে রায়য়ান নামে একটি দরজা আছে। কেয়ামতের দিন রোজাদাররা উক্ত দরজা দিয়ে (জান্নাতে) প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া অন্য কেউ উক্ত দরজা দিয়ে (জান্নাতে) প্রবেশ করতে পারবে না। (কেয়ামতের দিন) রোজাদাররা কোথায় এই বলে ডাকা হবে। রোজাদাররা দাঁড়াবে। তারা ছাড়া অন্য কেউ উক্ত দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। যখন তারা উক্ত দরজা দিয়ে (জান্নাতে) প্রবেশ করবে, তখন সেটিকে বন্ধ করে দেয়া হবে। কিছুতেই অন্য কেউ আর প্রবেশ করতে পারবে না। (বুখারি শরিফ, হাদিস, ১৭৯৭)
৫. হজরত আবু হুরায়রা রাজিয়াল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, রোজাদারদের দুটি আনন্দের সময় আছে যে দুটি সময়ে তারা আনন্দ করবে। একটি হলো, ইফতারের সময়। অপরটি হলো, (পরকালে) আল্লাহ তায়ালার সাথে সাক্ষাতের সময়। (মুসলিম শরিফ, হাদিস, ১১৫১)