রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০৪:৪৪:১৯

যে নবী পিঁপড়ার ভাষাও বুঝতেন

যে নবী পিঁপড়ার ভাষাও বুঝতেন

ইসলাম ডেস্ক: মহান আল্লাহ তা’য়ালা এই পৃথিবীতে এমন একজন নবী পাঠিয়েছিলেন যিনি প্রায় সব কিছুরই ভাষা বুঝতেন। আল্লাহ তায়ালা তাকে এমন রাজত্ব দান করে ছিলেন যা অন্য কোন নবীকে দান করেননি। তিনি সারা বিশ্ব শাসন করতেন। তিনি সকল প্রাণীর ভাষাও বুঝতে পারতেন। সেই নবীর নাম হযরত সোলাইমান (আ.)।

একদিন তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে তিনি কোথাও যাচ্ছিলেন। তখন এক পিঁপড়া সরদার সমস্ত পিঁপড়াকে ডেকে বলে, হে পিঁপিলিকার দল শোন! সোলাইমান (আ.) একটু পর এদিক দিয়ে তার বিশাল সৈন্যবাহিনী নিয়ে যাবেন। সুতরাং তোমরা কিছুক্ষণের জন্য সকলেই গর্তে প্রবেশ করো। যাতে তোমরা তাদের পদতলে পিষ্ট না হও। কোনও ক্ষতির সম্মুখিন যেন না হও। একটি পিঁপড়ার এরকম বক্তব্য আল্লাহ তায়ালার ভালো লেগেছে তাই পিঁপড়ার বক্তব্যকে কোরআনে স্থান দিয়েছেন। নাযিল করেছেন আয়াত।

ياايتها النمل ادخلوامسا كنكم لايحطمنكم سليمان و جنوده وهم لا يشعرون

‘হে পিঁপড়ার দল! তোমরা তোমাদের বাসস্থান তথা গর্তে ঢুকে পড়। যাতে করে সুলাইমান (আ.) ও তাঁর বাহিনী অজ্ঞাতসারে তোমাদেরকে পদপিষ্ট না করে।’

সোলাইমান (আ.) পিঁপড়ার এ বক্তব্য শুনে হেসে ফেললেন এবং বললেন হে আল্লাহ! তুমি আমাকে তোমার শুকরিয়া আদায় করার তাওফিক দান কর। তুমি কত নিয়ামত দান করেছ আমাকে! আমাকে পিঁপড়ার ভাষা বোঝারও তৌফিক দিয়েছ। একটি পিঁপড়া অন্যান্য পিঁপিলিকাকে উপকার করার কারণে আল্লাহর নিকট এ কাজ খুব পছন্দ হয়েছে। তাই তিনি মানব চেতনায় পরোপকারের বীজ বপন করতে কোরআনে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সন্নিবেশিত করলেন। উল্লেখ করলেন সোলাইমান আ. ও পিঁপড়ার ঘটনা। সেই সঙ্গে পিঁপড়ার নামে একটি সুরার নামকরণও করলেন। সুরাতুন ‘নামল।’
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জেএম/আরএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে